সাফা মারওয়ার দৌড়ে ক্লান্ত জাতির মাতা,
শিশু ইসমাইল তখন একা,
একাই নিয়তির সাথে যুদ্ধরত
মরুর বুকে চলে উদ্দাম মাতম
এক নিষ্পাপ শিশু ইসমাইল আর-
মহাখেলোয়াড় নিয়তির অসম খেলা।


মরুর ভেলায় চড়ে ছুটে চলা-
গ্যাব্রিয়েল নিয়তির ইশারায়
ইসমাইলের পক্ষ নেয়,
এবার মোটামুটি খেলা জমে উঠে!
গ্যাব্রিয়েল ভর করে ইসমাইলের কোমল পায়,
হাজারো মেসি,নেইমার,রোনাল্ডো সুয়্যারেজ!
স্যুয়ারেজের নর্দমার মত কেবলই ভেসে যায়।


ইসমাইল তখন একাই লক্ষ, একাই কোটি
নিয়তিও তখন কিঞ্চিৎ ভয় পায়!
নিজেরই পাতানো খেলায় নিয়তি
নিজের ইচ্ছাতেই হেরে যায়।
রচিত হয় এক মহা মহা মহাউপাখ্যান!
মরুর মাটি ভেদ করে উদিত হয়
এক অসীম  জলরাশি।


এখন তিমির রাতের নিশ্চিদ্র
অবকাশে, রাক্ষুসে সময়ের গ্রাসে
বন্ধ্যা সময়গুলো কেবলই অসহায়,


রাতের দিকভ্রান্ত মুসাফির,
আজও ঘুমের ঘোরে  আলো ভেবে
কেবল আলেয়ারই পিছু নেয়,


এখানে এই এত জনকলরোলেও আর,
আরেকটি আশার প্রদীপ জ্বলে উঠার
কোনোই লক্ষণ নেই,
প্রতারিত বাঁশিওয়ালার করাল-
প্রকোপে বিলীন শিশুমেলা।


আরেকটি অসম যুদ্ধের রণভেরী শুনি
আমি আরেক মাতাল মুসাফির----
কালের ভুবুক্ষা, যুগের ফকির।


রয়েছি ইতিবাচক প্রতীক্ষায়
আকাঙ্ক্ষিত ফলাফলের
যদিও বিজয় অনাকাঙ্ক্ষিত আর সুদূর পরাহত,
এখানে কিন্তু গ্যাব্রিয়েলদের প্রবেশ নিষেধ।


এখানে কেবলই প্রতিফলন নিয়তির নিরুঙ্কুশ ইচ্ছার
পাতানো খেলায় আর ভাব আসে না নিয়তির
এখানে যে যার, সে তার, যার যার দায় তার তার
আমি মুসাফির শেষের যাত্রি, শেষের পথে জগৎসংসার।