সয়ে সয়ে নীল হয়েছি;
নীলকণ্ঠ হয়েছি বিষের পেয়ালা গিলে
জঠরের কুঠারাঘাতে পাথরের জবান খুলেছে যখন
জবাব তোমায় দিতেই হবে আজ;
হে স্বাধীনতা


শতবছরের গর্ভমূল ছিন্ন করে
ত্রিশলক্ষ শহীদের রক্তের ওমে  
দুলক্ষ বীরাঙ্গনার যোনি ভেদ করে
যখন অভাগার দেশে ভূমিষ্ঠ হলেই
হে স্বাধীনতা


জন্মভূমির মায়া ভুলে
তবে কেন আজ সরে গেলে এত দূরে
কেনইবা চলে গেলে কিছুই না বলে!
হে স্বাধীনতা


মুজিবের ছলে!
জিয়াউরের বলে!
যখন এসেই পড়েছিলে
তবে থিতু হলেনা কেন এই জনপদে
শকুন-শ্বাপদের ডানায় ভর করে বলো
কেন পালালে?
হে স্বাধীনতা


চাতকের বুকফাটা আর্তনাদে একফসলা
বৃষ্টির বদলে
কোপলে কিসের তীলক এঁকে দিলে
হে স্বাধীনতা
দিবসের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে
ফেঁসে গেছো এ কোন অলীকের জালে!


শুনতে কী পাওনা
চিৎকার করে আজও হাজারো বধ্যভূমি
এদেশেরই ভূতলে
তাহলে!
কোন খেয়ালে! কার খেয়ালের গোলাম হয়েছো?
হে স্বাধীনতা


নিজেকে সঁপেছো বলো
কোন নব্য ভুট্টো ইয়াহিয়া
আর, আইয়ুব খানের করতলে?