বিশ্বাস করো; তোমাকে দেখার পরে
আমার কবিতা লেখার ছলাকলা ভুলে
কলমের নিব দোয়াতে ভরে রাখবো বলে ভাবছি;


একটুও বাড়িয়ে বলিনি ,
শুনো, একথা আমি ছাড়া কেউ বুঝবে না জানি,


লাখো শব্দমঞ্জরি হাজারো বাক্যগাঁথা
কবিতায় রূপ দিয়ে একটি অবয়ব তৈরি করি,
কেউ কেউ এমনিতেই সুন্দর বলেন হয়তো সুন্দর
হয় বলে তাই!
কেউ কেউ?  নিয়ম রক্ষার ছলে! বেশ হয়েছে মাইরি! আপনার কবিতাখানি


এরপরও প্রকাশকের দৃষ্টি নাপড়া আমার ব্যর্থ কবিতাগুলোকে আমি সুন্দরই বলি;
এ আমার অনাসৃষ্টি বলে কথা।


কিন্তু, যেদিন প্রথম তোমার দীঘলায়তন চোখের দিকে একটু সাহস নিয়ে তাকিয়েছি!
বিশ্বাস করো, আমি ছন্দভোলা হয়ে গেছি!


কেমন মোহনীয় অন্ত্যমিল জুড়ে দিয়েছেন বিধাতা তোমার অক্ষির গোলকে,
পলকে পলকে কী ছন্দ খেলে যায় সেই যুগল চোখে তোমার,
আমার কলমের ডগায় তোমার চোখের একটি চাহনির নিগুঢ় তত্ত্বও কী নির্ণয় করার সাধ্য আছে! বলো।


এমনকি পেশাদার ডুবুরির মত কবিতাপাঠকেরাও উদ্ধার করতে পারবে না তোমার দৃষ্টির মর্মবাণী।


সকল উপমা উৎপ্রেক্ষাকে দুপায়ে মাড়িয়ে
তোমার ওষ্ঠাধর যখন লাজুক রসে কেঁপে
কেঁপে উঠে আমি তখন খেই হারিয়ে, হারিয়ে যাই  নিঝুম অজানায়।


তোমার  অধর রসে ভাসবো বলে শব্দের মালা শিকেয় চড়িয়ে দিনমান ভুলে কেবল প্রতীক্ষায় থাকি তোমার তীরে।


তোমার শৈল্পিক চতুর ভ্রুকুটির ভাঁজে লুকিয়ে থাকা নিবিড় সুধা;আমার আজন্মের কাব্যক্ষুধা মিটিয়ে দিয়েছে অনায়াসে,


তোমার টোলপড়া গালের উপর আমার সকল বাক্যালঙ্কার, শব্দালঙ্কার আর অনুপ্রাসগুলো মুখথুবড়ে পড়ে,


আমার কবিতায় আর কী কাজ বলো!
তুমি যে নিজেই আপাদমস্তক জীবন্ত কবিতা।


তোমার দীঘলকালোকেশে যেন দোলখায়
সাত সমু্দ্রের ঢেউ,


আমি শব্দভোলা অকবি পাণ্ডুলিপি ছেড়েছুড়ে সাঁতার শিখবো বলে ভেবেছি তোমার চুলের উত্তাল ঢেউ পাড়ি দেবো বলে।


মাঝে মাঝে প্রবাল দ্বীপের নারিকেল শাখার মত কেমন সুবিন্যস্ত নিপাট তোমার চুলের রিরুণী!


চিকন ঐ বিরুণীর ফাঁসে আমার অন্তরাত্মা, আমি এমনই ফেঁসে গেছি শব্দের বুননতো দূরের কথা এবাঁধন থেকেই মুক্তি নেই।