(১) সংগতি অসংগতি
-----আজগর আলী
রচনাকাল ১২/১২/২০১৭খ্রীঃ


জীবন লিখে দিলাম দেনমোহর চেয়ো না
আমাকে খেয়ো গো তুমি স্বপ্ন খেয়ো না
দুটাকার কেরানী আমি সঞ্চয় করি নি
চিন্তায় কাটিয়েছি বিগত দিবস যামিনী


চার আঙুলের কোপলে ধনের যোগ নেই
ভালোবাসার অসুখ আর কোনো রোগ নেই
থাকার ঘর আছে নেই পালঙ্কের জোগাড়
দুমুঠো শান্তি দেবো নাহয় করিও আহার


একে একে খুলবে যখন সকল বসন
হৃদয় বিছিয়ে দেবো তায় করিয়ো শয়ন
দিতে না হয় পারলাম আর বালা সীতাহার
হৃদয়ে গড়ে রেখেছি অঢেল প্রেম সমাহার
নিংড়ে নিংড়ে নিয়ো তাহাই একেক করে
যতদিন বাঁচি ভরে নিয়ো তুমি আঁচলভরে



        *************
তোমাদের মাঝে আমি
----আজগর আলী
রচনাকাল ১২-১২-২০১৭খ্রীঃ


আমি তো এখানেই থাকি আমাদের গ্রামে;
তোমাদের গ্রামে; জনাকীর্ণে কিংবা নির্জনে,
এখানে দোয়েলের শিস কোকিলের গানে,
বিরহী ডাহুকীদের সকরুণ তানে,
পানকৌড়িরা যখন আপন জীবন টানে।


পানের বরজ আখের ক্ষেতজুড়ে,
অদূরে নদীটির কিনারে কিনারে,
হংসবলাকারা যখন যায় উড়ে উড়ে,
তখনও আমি থাকি,
থাকি তোমাদের সকল থাকা না থাকা জুড়ে।


মালোপাড়ার বৃদ্ধ বটবৃক্ষের ছায়ায়,
অশ্বত্থের গাছ সোনালুর লাঠি স্বর্ণতলার মায়ায়,
মেঠোপথগুলোর ধুলোবালির তলায় তলায়,
আমি কেমন লুটিয়ে পড়ে থাকি সকল জানা অজানায়;
আমাকে উপলব্ধি করতে পারো না তোমরা।


আমি তোমাদের জীবনকে অনুভব করি আপন সত্তায়
আমার ভাবনার স্রোতে তোমাদের নালায়েক মেয়েরা; সাবালক কনেরা,কলসি কাঁখে বধুরা হেঁটেহেঁটে যায়,
আপন আপন ভঙ্গিমায় তারা কেমন দোল খায়!
তাদের শরীর গতর আমি টের পাই
আমার নিজস্ব উপলব্ধির সীমানায়,
আমি তোমাদের সকল কর্মযজ্ঞ কেমন নিষ্পাপে অনুভব করে চলি!


এভাবেই যোগে বিয়োগে হিসাবে বেহিসাবে
আমি তো তোমাদের মাঝেই থাকি তোমাদের আপন ভুবনে
তোমাদেরই স্বজন হয়ে কখনো স্বজনের হয়ে
তোমরা বোঝো না তা।
আমি যে তোমাদের সকল উপলক্ষ;
আর সকল জীবন উপাদানে
নিজেকে পুঁতে এসেছি সঙ্গোপনে।