ঝলসানো চাঁদকে গিলে খেয়েও বেচারা
সুুকান্ত  মরে গেছে ঠিকই ক্ষুধায়!
বুঝি তাঁর আজদাহাসম উদরের  
উত্তরাধিকারী করে গেলো আমায়!


আমার আবার মস্ত সুচিবায়ুতো!
ওসব চাঁদ- তারা আমার রুচিতে নাহি যায়,
আমি এখানে দালানি সাহেবানদের
নামি-দামি কী জানি রিচফুড না বিচফুড খাই।


আজ মগজের রাস্তায় আরেকটা মালবাহী
ট্রেন ছুটে গেলো পাগলা কুকুরের ন্যায়,
উদরের বাঁদরগুলোও কেমন লাফাচ্ছে
কী জানি কয়েকটা ঝরেছে কি ক্ষুধায়!
দুমুখো সাপের মত লেলিহান চোখগুলোও
নির্বিকার শিকারী ব্যাঘ্রের মত রয়েছে ঠাঁয়,


সিটি কর্পোরেশনের ডাইনিংয়ে আজো
তেমনটা জোগাড় নেই, নেই কিছুও যা তা,
পরিত্যাক্ত বাগাড়ের মত এখানে কেবল
সুনসান আর শ্মশানের নীরবতা।


দালানি সাহেবানরা বোধহয় আজকাল
সব চেটেপুটে খায়,
সপ্তাহে প্রতিদিন যেখানে মজমা জমতো
সেখানে একদিনও দেখা নাই!


এডহক কমিটির বুভুক্ষারা কে কোথায়
রয়েছে তাও জানা নাই,
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও তেমন গুরুতর
কোনো খবর নাই।


চালের মগজে ঠাটা পড়েছে শুনেছি,
আছে কী মারা গেছে তাও জানা নাই,
বিগত জনমে রমনার বটমূলে সবিতার
জন্য যেভাবে থাকতাম প্রতীক্ষায়,
আজ সাত-সাতটা দিন খাবারের খোঁজে
রয়েছি তেমন ঠাঁয়।


উদরের বাঁদরগুলোকে আর বুঝানো
যাচ্ছে না সাগরের ঢেউয়ের মত কেবল  ফুটছে,
মগজের বুক চিরে আরেকটা যাত্রীবাহী ট্রেন
আসার সময় হয়েছে।


উদর আর মগজের অত্যাচারে আজ
আমি কেবলই নিরুপায়,
দেখি অন্তত বাঁদরগুলোকে দমানো  
যায় কিনা স্বৈরাচারী কায়দায়!