আমি এক মহা ভুবুক্ষা ক্ষুধিত পাষাণ;
সেদিন দুর্ভিক্ষের উঠোনে বিকেলের
বেলায় ক্ষুধার থালায় গৌরাঙ্গদের
দাবায় খেতে বসেছিলাম------


সে কী!  যবনে খায় নম-শূদ্রের অন্ন!
ধর্ম কী রয়েছে তবে ! হলো যে চূর্ণ-বিচূর্ণ
ধর্মের ঘরে এ দেখি অধর্মই বাস করে!
দূর হও, দূর হও হে পাষাণ যবন !
দূর হই নি আমি; সেদিন শান্তি কাকীমার  
ধর্মের বাণী শুনেছিলাম-----


ক্ষুধার গর্জন ধ্বনি, আমি শুনছি---
অনাগত কাল থেকে, কবিতা গানে
প্রাণের উঠোনে, ক্ষুধার পায়চারি-
হাহাকার আমি দেখেছিলাম-------


নজরুল, সুকান্ত, জীবনানন্দ কী
মাইকেল! মুসলিম হিন্দু কী খ্রীষ্টান!
ক্ষুধার গানে একই সুরে একই
তান দিয়েছিলো তাঁরা আমি শুনেছিলাম-----


সাত সাগরের গর্জনে ,শেখ মুজিবের
ভাষণে,জিয়ার শাসনে, এরশাদের শোষণে
আমি ক্ষুধার আধিপত্যই দেখেছিলাম----


আমি মৌ-লোভী মৌলবির ভুড়ির সাইজ
মাপতে মাপতে ভেবেছিলাম:-


ওরা জনে-জনে ক্ষুধিত পাষাণের ধর্ম গুনে
ওদের ধর্মগুণে কোনো ক্ষণে কোন বনি
আদম কিবা কুকুর শাবকেরেও, তুচ্ছতা
ভরেও খাওয়ার দিয়েছিলো কি ???
আমি জানতে চেয়েছিলাম-------


আমি গত জনমের মত এই জনমেও
ধর্ম,সীমানার বেড়াজাল মুক্ত এক উন্মুক্ত
সরাইখানার ছবি এঁকেছিলাম


যেখানে নজরুল:-
খাবে ভিমরুলের মত তুলবে মাতাল গুঞ্জন,


সুকান্ত :-খাবে চাঁদের রুটি
কুটিকুটি করবে খণ্ডন,বন্টন করবে সবা মাঝে তা,


জীবনানন্দ:-  খাবে নাটোরের কই,
খৈ ফুটবে সবুজ মুখে তার , বলবে বনতলা কই!


মাইকেল:- খাবে কপোতাক্ষের জল
কল কল বইবে দেশপ্রেম, সাতান্ন লক্ষ
সনেট রচনা করবে খচিত হবে ভালোবাসা হেম।


বিশেষ অতিথি গালিব-খৈয়াম :
ভাসবে দশ গামলা দ্রাক্ষারসে
বসে বসে রচনা করবে বাইশ কোটি  রুবাইয়াৎ
মিষ্টভাষি আর ভীনদেশী সাকীদের পরশে।