অতঃপর বিশ্ব শক্তির কাছে আমাদের
ওসব সুসভ্য আবেদনমালা নিষ্ফলতার মোড়কে
সিলগালায় আবদ্ধ হলো,
মুসলিম শক্তিগুলি নিন্দা আর অশ্রু বিগলিত
হয়েই ভ্রাতৃত্বের দায় সারলো----


অতঃপর নাফের কিনারে-
আরাকান সভ্যতার গণকবর রচিত হলো,
পরাক্রমশালী মহান স্রষ্টার দরবারেও
নিপীড়িতের সকল ফরিয়াদ পরিত্যক্ত ঘোষিত হলো--


এমন ক্লীব সময়ে আর
ওমর-হামজা,কুতায়বা-কাসিম,আলেকজান্ডার
জুলকারনাঈন কিংবা সালাদিন জন্ম নিবে!
এ আশাও ছেড়ে দিলাম,


অতঃপর নাফ তীরের পাললিক মাটি
ভেদ করে উখিয়া থেকে কুতুপালংয়ে----
রোহিঙ্গা শিবিরে জন্ম নিক দোর্দণ্ড প্রতাপশালী
দুর্বিনীত প্রলয়ঙ্করী ঝড়,সভ্যতার মূর্তিমান অাতংক চেঙ্গিস খান,
সাত সাহারা রক্ত পিপাসা বুকে, সাত সমুদ্র  বিষাদের
বক্ষ বিদীর্ণ করে জন্ম নিক ধ্বংস লীলার
আরেক ইতিহাস  হালাকু খান,
রোহিঙ্গা মায়ের বিধ্বস্ত জরায়ু থেকে ঝ'রে পড়ুক  বিধ্বংসী হালাকু-চেঙ্গিসের মিলিত শক্তি-----


অতঃপর বেদ, বাইবেল,পুরান কুরআনের বাণী মসজিদ,মন্দির আর গীর্জায় গুমরে কাঁদুক,
বরং রোহিঙ্গা পল্লিতে ঘৃণা-ক্রোধ আর
বিভৎসতারই চাষ হোক,
প্রতিটি শিশুর বুকে দাউ দাউ করে প্রতিশোধের ক্রোধাগ্নি পারমাণবিক চুল্লির মত জ্বলুক-----


প্রতিটি শিশুর নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে উৎসারিত হোক ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ঘনফুট আণবিক জলীয়
এরপর রচিত হোক ভীবৎসতার দ্বিতীয় অধ্যায়----


আরাকান থেকে ইয়াঙ্গুন, শান থেকে কাচিন,
চিন রাজ্য থেকে নেপিডো
ধ্বনিত হোক রোহিঙ্গা অশ্বের পদধ্বনি।


অতঃপর ভীবৎসতার বিনিময়ে ভীবৎসতা,
নৃসংসতার বিনিময়ে নৃসংসতা,গণ হত্যার বিনিময়ে
গণ হত্যা,ধর্ষণের বিনিময়ে ধর্ষণ, গণ ধর্ষণের বিনিময়ে গণ ধর্ষণ, আগুনের বিনিময়ে আগুন
এটাই হোক সুচি আর বর্মি মগেদের উত্তম প্রতিদান।