-----------ইয়াবা মেয়ে
-----আজগর আলী
রচনাকাল ২৪-০১-২০১৮খ্রিঃ
সৃষ্টির শুরু থেকেই ঐন্দ্রজালিক মায়ায়
নারিরা বেঁধেছিলো পুরুষের মন;
অদৃশ্য এক সুতোয়!
এ নারি প্রেমের মোহেই তো;
আদম বেহেস্ত হারায়!
তবুও এ নারিই সদা পূজনীয় ;
সকল বীর আর সুপুরুষের কাছে!
আমার কাছে তো আমার দাদী
আমার মা আমার বোন,
আমার প্রেমিকা
আমার সহপাঠীনি!
আর, আমার স্ত্রীর সন্মান
আমার জীবনের চেয়েও বেশি----
আমি তো কোনো কিংবদন্তি
পুরুষ নই যে
আমার চেয়ে অন্য পুরুষেরা হবেন আলাদা;
শতে দুয়েকটা ধর্ষক কাপুরুষ ব্যতিরেকে
সকল পুরুষই তো পুজা করে এ নারিকে!
জানি এ কভুও হবার নয়
তবুও কেন জানি ভয় হয়!
কিছু বিকিয়ে যাওয়া ;
বাজারুয়া আর ইয়াবা মেয়েদের
তামাশা দেখে!
কিছু বাজারুয়া পুরুষ ব্যতীত;
যদি বেশির ভাগ সুপুরুষেরাই
নারি বিদ্ধেষী হয়ে যায়!
আমার দাদী, আমার মা, আমার বোন,
আমার প্রেমিকা, আমার সহপাঠীনি
আর আমার প্রিয়তম স্ত্রীর ঠাঁই!
হবে বলো কোন ঠিকানায়??
------------------মাতৃভাষার মান
----আজগর আলী
রচনাকাল ২৪-১-২০১৮খ্রি:
সালাম রফিক বরকত জব্বারের রক্ত-
বিগলিত একুশে ফেব্রুয়ারি
খোদার সেরা দান,
মাতৃভাষার তরে এমন অবদান!
গোটা বিশ্বে বিরল হলেও;
বাংলিশ কিংবা বাংরেজির করাল প্রকোপে!
মাতৃভাষা বাংলা এখন প্রতিনিয়ত খুন হয়
এদেশের রেড়িও টেলিভিশনে।
টকশো গোল টেবিলে!
খেলার মাঠে খাওয়ার টেবিলে!
কিংবা; শিক্ষাঙ্গনে,
মাতৃভাষাকে কুরবানি দেওয়া হয়
সহাস্যবদনে!
শহিদদের মা-বাবার নয়নের জল
শুকাতে না শুকাতে;
আমাদের মা-বাবারা বুক ফুলিয়ে;
দম্ভভরে বলা শুরু করেছে!
দাদা:-
আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না!
আমারও ঠিক মাথায় আসে না
হৃদয়ের বেদিমূলে যদি ;
আঁকা না থাকে মাতৃভাষার নাম!
না বাংলা না ইংরেজি!
জগাখিচুড়ি প্রকৃতির
এমন ধারা
বাংলিশ অথবা বাংরেজি প্রজন্ম!
কিংবা;
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখে;
শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবকের ঢালি
আর, প্রভাত ফেরির গান,
কেমন ধারা রক্ষা করবে মাতৃভাষার মান!