সেই প্রথম যৌবনে ভাবনা ছিল,
ঘরের অভাব দূর হলে হয়ত সব অভাব দূর হয়,
মাথা তুলে বাঁচার সাহস যোগায়।।।


বটতলা গ্রীষ্মের আড্ডায় দাদাদের
পাশে বসে শীতলতা আনে প্রাণে।


আমার যখন ঘরের অভাব পূর্ণতা পেল
বাবা বলল- তোর তো ঘরের অভাব গেল
বাপ! তোর আকাশের নিচে মাথা লুকানোর ঠাঁই হলো।
মা লাজুক গলায় বলল- "কী বলছো এসব তুমি!
ঘরের অভাব ঘুচলেই কী সব অভাব মুছে?
বাবাটা আমার কত বড় হয়েছে!"


সকালে বিছানা গুছানো, নাস্তা খাওয়ানো, কাপড় কাচা
স্নানের জল,রাতের খাবার, মশারি ঝুলাতে চাইলেই বলত- খোকা বড় হ!


সেই মা আমাকে আজ কত বড় হয়েছি বলছে!!
মহাবিশ্বে অষ্টম আশ্চর্যকেও হার মানায়।


"খোকার পরের অভাব বুঝ না, খোকার বাবা!!"


শুরু হল অভাব!!! অভাব!! পরের অভাব!!
পরম আত্মীয়, অনাত্মীয়,চরম আত্মীয় সবার উৎকণ্ঠা, জল্পনা কল্পনা, দিবারাত্রি নাওয়া খাওয়া, ঘুম বিসর্জন
একটাই কাজ।
ভূলোক,দ্যুলোক তন্নতন্ন
করে যখন সবাই ক্লান্ত, বলাবলি চলছে -
না হবে না!
আমাকে দিয়ে হবে!
,এসব ওদের কাজ না!
এ ছেলে কপাল পোড়া তা না হলে এমন হয়!!


হঠাৎ কোন এক সন্ধ্যায় শোনা গেল-
পেয়েছি! তাকেই পেয়েছি!!


গগনে চাঁদ উদিত হইল
সকল আঁধার কেটে গেল
সবার মুখেই হাসি।


প্রচণ্ড অভাব ঘরের অভাব,পরের অভাব
এসবে যদি হত শেষ,অসীম অভাবে ভাসছে
জগৎ সংসার, নেই তো কারো রেশ।