আমি হায়েনা হয়ে হানা করিব
করিসনা কেউ মানা।
আপনার অধিকার কেমনে লইব
আমার আছে তা জানা।
আমি রক্ত চক্ষুর ভয় করিনা আর
অসার দুশমন, হিংসার অনলে
পুড়িয়া করিব ছারখার।
আমি অধিকার আদায়ে
সাদা বসনে খাব কেন মার?
আমি মানুষ চাই আমার অধিকার।
আমি সাত চল্লিশ থেকে একাত্তরে যা দেখেছি
আজও তা গোপনে গোপনে বিরাজমান।
সাম্য সবার কাম্য তবুও কেন
গায় না এ দেশে সাম্যের অমর গান?
আমি নব বিদ্রোহী এসেছি মসি হাতে
বাংলার আকাশ,মাটি আবার কাঁপাতে।
চাই অধিকার,বাঁচার অধিকার,কথার অধিকার
রইবনা পড়ে আর তফাতে।
আমি লৌহ মানব,
দানবেরে দক্ষিণা করি দান।
অবলাদের জাগাতে রাত্রি নিশীথে
করে যাই সদা সাম্যের গান।
আমি করি ঘায়েল অসুর বক্ষ
হাতে লয়ে বিষের  বিষাণ।
আয়  আমার অত্যারিত,পীড়ত
উড়াই আবার বীরের সাম্যের নিশান।
আমি মহাকালের অমর মধুর সুরের টানে
আমার সোনার দেশে আসি।
আমারে দাও অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা
নইলে দাও এক নিমিষে ফাঁসি।
আর্য,অনার্য কাল হতে
আজও অবধি আমি অনাথ।
আমি নব বিদ্রোহী, সাম্যের গান গাহি
সইবনা আর অসার কোন আঘাত।
চরম গরমে পরম আরামে
ঘুমায় যারা শীতল ঘরে।
অত্যাচারীর বাহাদুরি
সইবনা আর অবনী পরে।
আয় রে আয় বীরদর্পে
ছিনিয়ে নেব অধিকার।
সাম্যবাদ জিন্দাবাদ
ঘুচাবই হাহাকার।


রচনাকাল :১৭ অঅগ্রহায়ণ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
রাত:১২:০০ ঘটিকা।