ওরে ও সর্বহারা তোরা কি চেতনা হারা?
তবে এবার শঙ্কা ছেড়ে চেতনার কেতন উড়া।
আপনার পদ ভরে দাঁড়ায়ে থাক অবনী পরে
নাই কিছু নাই এ সংসারে গাঁইতি চালাও বাহুর জোরে।
আপন প্রাণের প্রবল জোয়ার দেখিয়ে দে নভোতলে
নিঃস্ব বলে বিশ্ব জুড়ে থাকিসনা কারো পদতলে।
বন্দীদশায় কাঁদিসনে আর দিবস নিশি
আঁধার শেষে নীলকাশে দেখবি আবার চাঁদের হাসি।
পাতাল জুড়ে মাতাল হয়ে  কতকাল চলবি এমন
আপনার ললাট গড়বি কবে যাচ্ছে চলে মধুর লগন?
ওরে ও সর্বহারা ডঙ্কা বাজা ঝেড়ে ফেল শঙ্কা যত
নাইবা থাকুক কোনকিছু করিস নে তোর শির নত।
ওরে ও সর্বহারা হয়নি সারা আলোর স্মরণী
আপনারে না জাগালে কি জাগবে ধরণী?
আছিস যত সর্বহারা আয়রে করি সমনজারি
জগত জুড়ে হইবি তোরা অহংকারীর দর্পহারী।



রচনাকাল :১৮ জুন সকাল ৬:০০ ঘটিকা।