ওগো উদাস পূরবী হাওয়া
কইও গিয়া তারে।
তাহার তরে একলা ঘরে
মনটা সদাই পোড়ে।
সময়ের পর সময় যায়
তাহার কথা ভেবে।
সকল কাজে সকাল সাঁঝে
সকল অনুভবে।
একলা জাগি গভীর নিশি
আসেনা চোখে ঘুম।
ঘটে যাওয়া পুরনো স্মৃতি
করে বিরহ ধুম।
কইও তারে নিরালায় ডাকি
উদাস দুপুর বেলা।
ক্লান্ত মনে গোপনে গোপনে
করে সে কত খেলা।
ওগো উদাস পূরবী হাওয়া
কইও গিয়া তারে।
মনের বনে শত ফোটাফুল
তাঁহার লাগি ঝরে।
ও কাননে আসেনা আর
মধুর আশে অলি।
ফুটিয়া ফুটিয়া কতই ঝরিবে
বিরহী বকুল গুলি।
জোনাক জ্বলা সন্ধ্যে বেলা
আরও বেশি মনে পড়ে।
কেঁদে কেঁদে আকুল আঁখি
ঘুমায় নিতি নিশিভোরে।
কইও তারে পূরবী হাওয়া
বড়ই ব্যথিত মন মোর।
তারে ছাড়া জীবনে আসিছে
ঘনঘটা এক ঘোর।
যেই দিকে চাই ওঠে ভাসি
তাহার চাঁদ বদনখানি।
কোথায় আমার প্রিয় তুমি
কোথায় হৃদয়ের রানী।
ওগো উদাস পূরবী হাওয়া
বলিও তাহার কানে কানে।
তারে ছাড়া সদা দিশেহারা
পাইনা জীবনের মানে।
সকালের ভাত দুপুরে খাই
দুপুরের ভাত রাতে।
তাহার লাগি দোয়া মাগি
প্রতিদিন ঐ প্রভাতে।
ঘুমজাগা বিহগ কন্ঠে
বিরহী সুর ঝরে।
দুর গাঁয়ে দুহাত বাড়ায়ে
ডাকি তারে বারে বারে।
আয়রে আমার প্রিয় বধু
আয়রে আমার কাছে আয়।
আদর করিয়া মনপ্রাণ দিয়া
আলতা পরাব পায়।


রচনাকাল :১৪ জ্যেষ্ঠ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর: পাথারিয়া: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ
সকাল:৫:৫০ ঘটিকা
২৭ মে ২০১৬ ইং