এ ধরার বুকে কে আপন কে পর
সেতো নাহি বুঝি।
আপনারে হারায়ে দিবস রজনী
আপনারে কেবল খুঁজি।
কোথা হতে এসেছিনু
কোথা আবার যাব চলে।
এসব কিছু ভাবতে গেলে
নয়ন ভাসে লোনাজলে।
এ বসুধার বুকে নাহি আমি মহাসুখে
তবুও হায় এ ধরা ছেড়ে যেতে হবে মোরে।
ভাবতেই বুকটা ওঠে কেঁপে।
সত্যিই সময় হলে যেতে হবে চিরতরে।
ক্ষণিকের তরে এসেছিনু এ মায়া কাননে
খেলিতে রংয়ের খেলা।
প্রতিদিন নিশিদিন
খেলেছি নানান খেলা বেলা অবেলা।
যাওয়া আর আসার অমর এক কাহিনী
রেখে যাই এ বসুধা বুকে।
নাহি যেতে চায় মন এ অবনী ছেড়ে
যদিও নাই আমি মহাসুখে।
এ ধরার আলো, বাতাস
বৃক্ষ- লতা, ফুল,পাখি কত যে মোর আপন।
কত ভালবাসি আমি দিবানিশি
পিতামাতা,ভাই- বোন, ঘরের পরিজন।
মম কায়া মিছে মায়া এ জগত সংসারে
আপনারে হারায়ে হায় খুঁজি বারে বারে।
মম তনু,মনের কারিগর বড়ই চমৎকার
আপনার মতো ঘুরব অবিরত নাহি এ অধিকার।
কত শত মায়ার বাঁধনে পড়ে আছি দিবস-যামিনী
সে বাঁধন খুলে যেতে হবে চলে চিরতরে আড়ালে।
গগনতলে মৃত্যু অবধি নিশিদিন নিরবধি
চলে যেতেই অপরিমেয় ঘটে যাওয়া স্মৃতি ফেলে।
বড় ভয় লাগে মোর মনে ভাবি যখন নিরালে একা বসি
হায় রে মায়ার মেদিনী আমারে ভুলে যাবে।
কুসুম কাননে ঝরবেনা কোন ফুল মোর লাগি
বসুমতী কৃপণ অতি গাইবেনা কোন শোক গীতি মম অনুভবে।
আপন স্বজন কাঁদবে দুদিন ধরিয়া হাজার স্মৃতি
আঁখিজল ফেলে আড়ালে আড়ালে কাঁদবে মা জননী।
স্মরি গভীর প্রীতি গাইবে বিরহ গীতি ঘরের পরিজন
আপনের আপনজন কত কাঁদিবে আর দিবস রজনী।
আমি অবাক হয়ে কেবলি ভাবি কী হেতু এসেছিনু
নশ্বর মায়াবী  এ অবনী পরে।
সব ছেড়ে হায়  মন যেতে নাহি চায়
সোনার তনুখানি লয়ে নির্জন মাটির ঘরে।



রচনাকাল : ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ।
সকাল: ৮:৪৫ ঘটিকা
০৩/০৬/১৬ ইং