নিবিড় নিশি কাটিয়া গিয়া
তব দ্বারে এসেছে হায় ভোর।
বিভোর রইলি ঘুমের মাঝে
ওগো ঘুম ভাঙলনা তোর।
শাঁখে শাঁখে ফু্ঁটিয়াছে ফুল
প্রেমের রাগে অনুরাগে।
প্রভাত বেলার প্রথম হাওয়া
দোল দিয়ে যায় কুসুম বাগে।
সবুজ ঘাসে শিশির হাসে
যেন হীরা মানিক জ্বলে।
কী অপরূপ চারিধারে
আজিকার এ নভোতলে।
পুব আকাশে উঠিয়াছে রবি
রক্তিম অপরূপ শোভাময়।
আপনার তেজে জ্বলিছে ভানু
আমাদের এ বিশ্বময়।
ঘুমজাগা বিহগ কন্ঠে
মিষ্টি মধুর সব গান।
সাত সকালে উঠলি না তুই
কেমনে জুড়াবি তোর প্রাণ?
রাঙা অরূণ দ্বিগুণ তেজে
ছড়ায় আলো ধীরে ধীরে।
প্রভাত বেলা রূপের খেলা
দেখলিনা তুই অবনী পরে।
কুসুম বাগে ফুঁটিয়াছে ফুল
জুঁই, কামিনী,আর বেলী।
সান বাঁধানে পুকুর জলে
হাঁসের দলেরা করে জল কেলি।
খোপের পায়রা মাথায় টায়রা
ডাকিছে বাকবাকুম।
ওরে অবুঝ মগ্ম কেবল
অসার গভীর ঘুম।
গৌরবে ফুটে সৌরভ ছড়ায়
বাগানের কুসুম গুলি।
ফুলে ফুলে উড়ে রঙীন প্রজাপতি
আর মধুর আশায় আসে অলি।
প্রভাতের রুপ চুপে চুপে
যে জন দেখে ভাই।
প্রকৃতির সাথে নিবিড় প্রীতি
জমায় সে রোজ তাই।
প্রকৃতিকে বাসলে ভালো
থাকবেনা গো দিলে রিয়া।
নশ্বর এ বিশ্বালয়ে
সুন্দর হবে আপনার হিয়া।



রচনাকাল : ৮ শ্রাবণ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,সুনামগঞ্জ।
সকাল:৭:০০ ঘটিকা।