আমি দ্রোহের আগুন জ্বালাতে কালে কালে আসি
আমি অত্যাচারির চির অসুর কেড়ে নেই মুখের হাসি।
আমি স্বর্গ থেকে মর্ত আসি কাঁপাতে
আমি দ্বারে দ্বারে শান্তি বিলায়ে আড়ালে যাই অরুণ প্রাতে।
আমি ডেকে যাই যুগে যুগে অরুণ সম তরুণ গ্রহবাসি
আমি অসুর স্বপন করি হরণ আমি দারুণ সর্বনাশি।
আমি জিঞ্জির ছিড়িয়া পিঞ্জর ভাঙিয়া আসি
অবাক এ হেন স্বভাবে আমার বাকহীন গ্রহবাসি।
আমি নিশাচর, আমি মরুঝড়
আমি ভূমিকম্প, আমি কাঁপায়ে যাই সব থরথর।
আমি অদ্বৈত, আমি পৃথ্বীর অবাক রাহী
আমি নিত্য সত্য অবলীলায় গাহি।
আমি পোখরাজ,
আমি সকাল সাঝে আনি নব সাজ।
আমি দিলদার, আমি খুলে দিয়াছি মম চিত্ত দ্বার
আমি নিত্য সত্যের প্রহরী,  থাকিস শত্রুরা হুঁশিয়ার।
আমি কিম্ভুতকিমাকার সভ্যতার সর্বনাশি
আমি মানবতার করুন দশায় কালে কালে এই ধরায় আসি।
আমি ক্ষুধিতের কথা,পীড়তের ব্যথা কালে কালে রচিয়া যাই
আমি অত্যাচারিত, শোষিতের তরে হাতে নিয়াছি মসি তাই।
আমি সুরশৃঙ্গার,আমি অমর সুরাসুর
আমি অবনী পরে অত্যাচারীর স্বপ্ন করি চুর।
আমি সত্যের শক্তি,আমি ভক্তি করি মহামানব
আমি সতত সত্যের হেতু মহারণে হতে পারি মহাদানব।
আমি স্কন্দ, আমি করি আনন্দ
আমি শান্তির তরে পথে প্রান্তরে ঘোচায়ে যাই দ্বিধা দ্বন্দ্ব।
আমি সত্যের শক্ত জাঙ্গাল
আমি সত্যের তরে মেদিনীপরে হতে পারি চির কাঙ্গাল।
আমি জাগরী, আমি বাজাই সত্যের বাঁশরী
আমি সত্যের অমর অনিক জাঁহাবাজ কে নাহি ডরি।
আমি ধনীর দুহিতা, রানী কে আমার পেয়েছি পত্নী রুপে
আমি অন্য কোন জেনানার হেতু করিনা কামনা চুপেচুপে।


রচনাকাল :১৮ আশ্বিন ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।