আর কত ব্যথা রাখি গো ধরে
বলনা সখী মোর নয়নের নীরে?
আকুল আঁখি পথ চেয়ে চেয়ে
নীরবে নয়নের নীর এমনিতর যায় বেয়ে।
কত কথার ডালা সাজাই
বিরহে বাঁশের বাঁশরী বাজাই।
বিজন পথে আপনার সাথে
কত কথা কয়ে যাই দিবস রাতে।
কেউবা বলে পাগল নাকি!
আমি হায় খুঁজি তোমার কাজল আঁখি।
জনমের তরে বাঁধা পড়ে আছি
তোমাতে মরি প্রিয়া তোমাতে আমি বাঁচি।
ঘুমের ঘোরে জাগরণে
কত কথা কও হে প্রিয়া সদাই মোর সনে।
কাজল আঁখি জেগে রয় মোর সকল কাজে
তোমার মধুর মুখের হাসি কানে সতত বাজে।
অনঙ্গ আঁখি মোর
কেঁদে বেড়ায় নিশি ভোর।
আঁখি জলে তোমার জল ছবি আঁকে
অজান্তে আকুল আঁখি খোঁজে পথের বাঁকে।
অনন্ত ক্রন্দন নয়নের জল ছল ছল
না হেরিলে চাঁদ বদন টুটে যায় চিত্ত বল।
তোমার নগ্ন পদ্মচরণের রুপার নূপুর
কানে বাজে রুনুঝুনু সকাল দুপুর।
হেরিয়া হায় পশ্চাতে
পরাণ যেন হুঁ হুঁ করে কাঁদে।
কখনও পরম প্রীতির মধুর স্মৃতি
হাসায় মোরে দিবারাত্রি।
একলা বসে আপন মনে
কত কথার ফোটাই কলি তোমার ছবির সনে।
সবখানেতে জেগে রয় তোমার কাজল আঁখি
চিত্ত চঞ্চল তব অঞ্চল পেতে কেমনে বেঁধে রাখি।


রচনাকাল :১৮ আশ্বিন ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
রাত:৮:৩০ ঘটিকা।