আমার গাঁয়ের পথের বাঁকে
শ্যামলতা শ্যামল ছবি আঁকে।
গাঁয়ের মাঠে ধেণু চড়ায়
বাজায় বেণু রাখাল বটের ছায়ায়।
ছায়াঘন বীথিকা শুশীতল করে প্রাণ
রৌদ্র মাখা কৃষাণ কৃষাণি জুড়ায়
তপ্ত গাখান।
ধূলিমাখা চরণে শ্রান্ত তনু ঘুমায় ছায়াতলে
চরম গরমে মিঠাজল করে পান
স্নান করে তটিনীর স্বচ্ছ জলে।
কী শোভাময় বাংলা মোদের দিয়েছেন প্রেমময়
বীর বাঙালী চলে বীরদর্পে অবাক বিশ্ব তাকিয়ে রয়।
আমি শ্যামল বাংলার তরুণ ছেলে
প্রবল তৃষ্ণা মিটে মোর মায়ের দেখা পেলে।
জননী আমার জনম দাতা
পিতা মোর পরম পিতা।
বাংলা আমার জননীর জননী
কোথা আছে আর এমন গৈরিক বরণী।
আমার সবুজ মাঠের প্রান্ত ছুঁয়ে
রুপের নহর পড়ে হেথা চুঁয়ে।
আমার গাঁয়ের পল্লী বালা নথ নেড়ে নেড়ে কথা কয়
এমনিতর অবলা বালা নাহিরে বিশ্বময়।
এইখানে মোর গাঁয়ের পাঠশালে
ভালবাসিতে বাংলা মাকে পণ করে পতাকা তলে।
আমার গাঁয়ের সরল হাসান মিয়া
আউলা থেকে বাউলা হয়ে সুন্দর করছে হিয়া।
আমি গাঁয়ের অখ্যাত এক কবি
সাধ্য কী মোর আঁকতে পারি বাংলা মায়ের রুপের ছবি?
ছদ্মনামে পদ্য লিখি নাম" রনি ই রানী"
রনি হলেম নিজেই আমি পত্নী আমার রানী।



রচনাকাল :২০ কার্তিক ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
সকাল:৮:৩০ ঘটিকা।