আয় মার্তণ্ড বেশে
(রনি ই রানী)


আয় মার্তণ্ড বেশে করি লন্ডভন্ড
আয় পাতালে আড়ালে ধূর্ত কে দেই দন্ড।
আয় ব্যোমকেশে হরষে হেসে
আয় বাজাই অগ্নিবীণা হরণ করি সব নিমিষে।
আয় হরদম হরষে করি মাতামাতি।
আয় রাজমহল করি দখল
পাল্টে দেই ভুবন রাতারাতি।
আয় দরি,গিরি,হিমালয় সব পেরিয়ে
আয় হুংকার দিয়ে পরি সবে ঝাঁপিয়ে।
আয় সমুদ্রের ঐ নোঙর তোলা মদের ভারি তরি
আয় সাঁতরে আয় রাত্রে করি সব লুট, চুরি।
আয় সর্বহারা হই মাতোয়ারা মহারণ মহা খেলায়
আয় বেড়িয়ে সব বাঁধা ছাড়িয়ে কাটাসনে সময় হেলায়।
আয় দেখ ওরা হরদম মাতে উচ্ছাসে
আয় করি হরণ পুঁজি পতির পুঞ্জ পুঞ্জ পুঁজি উল্লাসে।
আয় চরণ দিয়ে মরন ঠেলে
আয় রক্ত চক্ষে আগুন জ্বেলে।
আয় চরণ দিয়ে মরন ঠেকাই
আয় রে সবহারা পুলকে ডঙ্কা বাজাই।
আয় ধরার মাঝে করি লড়াই
আয় পুঁতে ফেলি ধনের ধনীর অসার বড়াই।
আয় রে আয় সর্বহারা
আয় একসাথে রুখে দাঁড়া।
আয় গগনতলে তুফান তুলি
আয় উড়ায়ে দেই দূর্গ গুলি।
আয় রে কৃষক,আয় রে শ্রমিক
আয় রে আমার পরম প্রেমিক।
আয় হাতুর,কুড়াল, গাঁইতি নিয়ে
আয় করি অমর সমর অধিকার
নেই ছিনিয়ে।
আয় জাত বেজাতের সীমানা ছাড়িয়ে
আয় ব্যথার পাহাড়, আঁধার কারাগার পেরিয়ে।
আয় করতলগত করি কালো কড়ি সব
আয় মাটি চাঁপা দেই মানব রুপি দানবের শব।
আয় নদী খেঁকো দানব গুলোকে তটিনীর স্রোতে ভাসাই
আয় জলধারা ফিরিয়ে দেই মানস সরোবর,  লুসাই।
আয় করি লুণ্ঠন কালো কড়ির আলো ভরা দূর্গে
আয় হায়নাদের পাঠিয়ে দেই অশান্তির স্বর্গে।
আয় নিশ্বাসে প্রশ্বাসে হরদম গাহি সাম্যবাদ
আয় আয় ঘুচাই মোরা বেকার,যাযাবর, অসার অপবাদ।
আয় রে সর্বহারা আয় উচ্চ করে  শির
আয় পুঁজিবাদের দূর্গ গুলি করে দেই চৌচির।
আয় পীড়তের তরে নিপীড়িতের তরে গড়ি এ ধরিত্রী
আয় সর্বহারা আয় করি অমর সাম্য মৈত্রী।



রচনাকাল :২ পৌষ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
রাত:৮:৩২ ঘটিকা।