ওহে রুক্ষ তোর বক্ষ মাঝে
নাইকো দয়া মায়া।
তাই বুঝি বিধি তোরে
দিল সূক্ষ্ম রুক্ষ কায়া।
তোর চোখের সামনে ঘোরে কত
ক্ষুধায় কাতর শিশু।
তুই দেখলি পাষাণ নয়ন মেলে
দিলিনা খেতে কিছু।
তোর পাষাণ প্রাণে আসন করে
দিবস নিশি ঘোরে শয়তান।
বিধির বিধান রেখে পাষাণ
করিস সদাই শয়তানের গান।
ওরে নিঠুর ওরে পাষাণ
দেখনা একবার চেয়ে।
অন্নের দাবিতে অন্যরা আজ
আসছে রে বেজায় ধেয়ে।
তোর পুঞ্জ পুঞ্জ পুঁজি গুলো
কেড়ে নেবে এবার।
যারা ক্ষুধায় কাতর শোকে পাথর
ভাঙবে লোহার দুয়ার।
তোর পাষাণ প্রাণে হানবে বিষান
ছিনিয়ে নেবে সব পুঁজি।
কেমনে করে পালাবি তুই
সেই পথটা নে বাছা খুঁজি।
ওরে যক্ষ করিস লক্ষ্য
তোর ভান্ডারে জমা গরীবের অধিকার।
সাহস থাকে রুখে দাঁড়া
সর্বহারা করবেই ছারখার।
করিস খেয়াল  ইট,পাথর,লোহার দেয়াল
যাদের শ্রমে হল গাঁথা।
তারা আজি শ্রমিক, তারা প্রেমিক
রচিয়া গেছে তারা মহাকালের গাথা।
গড়তে যারা জানে প্রাসাদ
ভাঙতে তারাই জানে।
হাতুর,কুড়াল,গাঁইতি লয়ে
আসবে ওরাই সাম্যবাদের তানে।
প্রাণ দিয়েও রাখবে ওরা
সাম্যবাদের সমর।
ধরার বুকে ভাঙবে দেখিস
পুঁজিবাদের কোমড়।
পুঁজিবাদের ভাঙা কোমড়
গুঁড়িয়ে দেবে  জানি।
আয় সর্বহারা হও মাতোয়ারা
প্রমাণ কর অখ্যাত কবির অমর বাণী।


রচনাকাল :৫ পৌষ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
রাত:৭:৩০ ঘটিকা।