আমায় ক্ষমো হে নব শিশু
(রনি ই রানী)


কি হেতু এলো হে ধূলি মলিন ধরণীতে?
করিবে রোদন প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ কূট বাণীতে।
নাহি দৃঢ় বন্ধন
আছে কেবল অনন্ত ক্রন্দন।
চারিধারে বাজে মহারণ কাঁসর ঘন ঘন
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড মহারণ সম এ কথা মিছে নয় শোন।
গগনে গর্জে আসে দঙ্গল বেঁধে অধুনা দৈত্য সব পাখি
কাঁদিবে হায় হেরিয়া হীনতায় তোমার স্বপন ভরা কালো আঁখি।
আসে ঝাঁকে ঝাঁকে মারে লাখে লাখে তরতাজা নিরীহ প্রাণ
পাপহীন পরাণে তোমারে মারিবে বিষের বাণ।
কার বাণে কে মরে নাহি তার বিচার
তোমার নয়ন কাঁদিবে সদাই হেরিয়া হীন দুরাচার।
তোমারে স্বাগতম কেমন জানাই নব শিশু
দিতে কী পারিব তোমায় তব তরে অনুকূল কিছু?
শ্রেষ্ঠ জীবের নিকৃষ্ট অসার কাজ
পলে পলে তোমারে দিবে লাজ।
তুমি করবে রোদন পেয়ে বেজায় বেদন
তবুও ওরা জাগবেনা  যারা এখনও আছে অর্ধ চেতন।
তাই আমায় ক্ষমো হে নব শিশু
তোমারে দিতে পারিনি অনুকূল কিছু।



রচনাকাল :১১:পৌষ ১৪২৩ বঙাব্দ
ভার্ড চক্ষু হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ।
সকাল:১১:৪০ ঘটিকা।