সেদিনের আকাশ টাও ছিল নীল কান্তিতে_
পরিপূর্ণা এক নীলাম্বরী ।
যার মসৃণ অবয়ব এক বিশাল ক্যানভাস_
আমার দুনয়ন বেয়ে হৃদয়ে ও মনের_
ফ্রেমে একটা পর্দা টেনে দিয়েছে ।
নিরঙ্কুশ নীলাবরণী এক পর্দা ,চিত্রপট অঙ্কিত হয়নি এখনো ।
অঙ্কিতা বসে আছে পাশে তুলি নিয়ে ওর সবুজ বাগানে ।
ও সবুজ নগরীর বাসিন্দা , ....আমার এক চাল দূরে জলন্ত প্রতিবিম্ব_
সাগরের গভীর জলে চাঁদের প্রতি পূরক প্রতিবিম্বের মতো ।
আমি আজ ওর ক্যানভাস ।
ওর অধরা মাধুরী অজানাতে কত ছবি এঁকে গেছে ।
জানিনা,  এভাবেই কি অধরা ধরার সীমানায় বাঁধা পড়ে ।
আমিও সেই চিত্রপট নিয়ে চিত্রকূট পর্বতে ওঠার অপেক্ষায় ।
হাল্কা সমীরণে হিন্দোলে কাল বৈশাখীর এলোমেলো
ওর চুল বাতাসের উপত্যকায় ।
এ ত মৃদু-মৃদু বাতাস নহে,...  যেন ঝড় বাগিচার_
সব তছনছ করে ফেলেছে ।
চারিধারে দৃষ্টি ফেলে দেখি যতটুকু তার গোচর ভুমি,
সমুদ্রে আজ কেমন এক শান্ত পরিবেশ !
নেই তার কোন কামনা, নেই তার বাসনা ।
তবুও চারিপাশে মত মাতানো আবেদনীয় আবেশ ।
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউগুলো যেন চাপা পড়ে আছে_
আমার বুকের ভেতর ।
তার ভাষা, ছন্দ, রাগ- রাগিণী এলোমেলো অব্যক্ত ।
তার রেশ কপালের বলিরেখায় ফুটে ওঠে সম্পৃক্ত  ।
আর ছন্দপতন মুখের ভাষায় ,ধমনীর কম্পিত সুরে অধরায় ।
এ নিসপিস আমার চোখের আড়ালে লুকিয়ে যেতে পারে
কিন্তু গোলাপ রজনীগন্ধা র সৌরভের স্নিগ্ধ
কোমল মুচকি হাসিতে , তা সুপ্রভাতের মত স্পষ্ট ও পরিলক্ষিত ।
তার প্রচ্ছায়া ব্যঙ্গার্থক রসে ভরপুর ।
নুপুরের নিক্বণ হৃদয়ে বাজে ও আভা_
ছড়িয়ে পড়ে মনের তানপুরায় এস্রাজে ।
আমার হৃদয় ও ছিল এক নীল ক্যানভাস ।
চিত্রনাট্যের সংলাপ আমার জানা ছিল না ।
কিন্তু অঙ্কিতা পাশে থেকে অনেক সংলাপের জন্ম দিল ।
হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসে_
কোটি কোটি অপরিমেয় হাওয়ার বুলবুলি ।
সেগুলো বাতাসে মিলিয়ে যায় প্রাণবায়ু গ্রহণের জন্য ।
আবারও আবেগী হাওয়ার ঘুর্ণিঝড়ে হৃদয়ের_
উপকূলে এসে আছড়ে পড়ে ।
এই আবর্তন বিবর্তনের মাঝখানে আমরা_
অনেক অধ্যায় শেষ করে পেছনে ফেলে এসেছি  ।
এখনও সেই সময়ের মাঝখানে হারিয়ে যাই , কেন জানিনা ?
কিন্তু আজ মনে হয় ,হৃদয়ের অনেকাংশে পাথুরে নদীতে জল বয়ছে ।


বাবুল আচার্যী    30/09/2017