সূর্য তার প্রখর দৃপ্ত চোখে দেখে চলেছে_
আসমুদ্র হিমাচল পৃথিবীর গভীর নিদ্রা আর জাগরন।
যুগ যুগ ধরে, আবহমান কাল ধরে ।
কখনো তন্দ্রা জড়ানো চোখে, গ্রহণে,শীতবাহী প্রবাহে ,
অগ্নিকুণ্ডে, নিজের দহনে ই জ্বলে পুড়ে আমরণ  
দেখে চলেছে ,এই পৃথিবীর গভীর শীত ঘুম ষাণ্মাসিক রাত ।
যেখানে দিন- রাত, কাল- সময় সকাল- বিকাল সমার্থক ।
যেখানে আলোর কাছে আলোর দেখা নেই ;
উদ্বিগ্ন চেহারায় ফুটে ওঠে ডাগর হরিণীর চোখ ।
আলো গেছে অগস্ত্য মুনির যে পথ ধরে ,আর সে ফেরে নাই।
নিশিথিনী যামিনী বিরহিণী একাকিনী,পথ চেয়ে বসে আছে।
নেই কেহ সাথী ওর, যে রাখে ধরে নিরাশা ভরা হাত।
এ যেন জীবন প্রবাহে এক চলমান অভিসম্পাত !
এখানে প্রতিদিন তাই অমানিশা আলোর বিরহে কাঁদে ।
নিশির অতিথি ও পড়ে না এই ভালোবাসার ফাঁদে  ।
তবু জীবন অনন্ত কূলে নিশ্চল তরঙ্গে ও বয়ে যায় ;
কোন এক অদৃশ্য ইঙ্গিতলীন অমোঘ শক্তির ইশারায় ।
এখান থেকে দূরে বহুক্রোশ দূরে ,পৃথিবীর এক কিনারায় ।
যারা আছে , ওদের জীবন এখানে এক রক্তহীন করুণ বিপ্লব !
সেজে ওঠে বরফের অমল ধবল সজ্জায় ।
অনেক তিমির রাতের অন্তরালে,
পৃথিবী গভীর তন্দ্রাচ্ছন্ন থেকে অলস দেহে জেগে ওঠে যখন_  
চোখ খুলে দেখে খণ্ড খণ্ড হিমেল প্রবাহ থৈ থৈ চারিপাশে ;
যেন আকাশ নড়া চড়া করে ধরাতলে _
বহে যায় ধীর স্থির গম্ভীর প্রবাহে ।
সূর্য ওর শীতল সদস্যের চোখে চোখ রেখে,
অনুভব করে জীবনের অনন্ত প্রবাহ
প্রবাহী চলেছে সেই প্রবাহে গা ভাসিয়ে অনন্ত কাল ধরে অনন্ত কূলে ।


বাবুল আচার্যী    09/05/2017