এইখানে ,
এই পৃথিবীতে,.....আর কতদিন কতবার_
ব্যহত হবে ছোট্ট কুটিরে আবদ্ধ এ হৃদয় ?
ভাসমান পদ্ম-পাতা কতদিন আর জল ধারায়_
বয়ে চলে যাবে সবুজের নিজ তথ্য অমলিন অধ্যায় জুড়ে ?
সময় সাংখ্য সারণীর বর্ণমালা সীমাহীন ব্যাপ্ত ...
চড়াচড়ে অচড়াচড় , সীমানায় সীমাহীন....
দিগ দিগন্তে যে আদিগন্ত, সমুদ্রে যে আসমুদ্র ।
সুদূরে দূর দৃষ্টির বাহিরে ও  অনেক কিছু ।
জীবন এক দুই তিন, তিন দুই আর এক নহে_
নিজের স্বাছ্যন্দে নিজেই যায় চলে বহে ।
সন্ধি-বিচ্ছেদ ,রাগ-বিরাগ, ভজন-ভাজন,
সবই একটি পরিপূর্ণ গাছের ডাল পাতা_
ফল ফুল কুঁরি আদি ।
সুখ দুঃখ ভালোবাসা বৃস্তৃত পরিসংখ্যানের_
একটি আখ্যান একটি অধ্যায় মাত্র ।
সে অধ্যায়ের পঠন বিরাম, পূর্ণ বিরাম, যতিচিহ্ন,
সব অলিগলি আলের পথ ধরে পরিসমাপ্তির_
দোর ঘরে পৌঁছাতে হয় ।
নীলকণ্ঠ পাখীর ডানা গুঞ্জরণ অন্তরে গল গল তরল
ভালোবাসার বাহিরে প্রেক্ষাপন ।
অন্তর্হিত তপ্ত লাভা বাহিরের শক্ত আবরণী,
পোশাকের সাথে মিলে যুগ যুগ ধরে নিজেও আস্তরণ হয়ে যায়  ।
এভাবেই কত যুগ যুগান্তরের ক্ষোভ বিক্ষোভ_
ভালোবাসা সমাধিস্থ হয়ে  একদিন মাটিতে বিলীন হয় ।
অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখালে সে সবই এ কালে _
মাটির ধূসর রঙ দেখাবে ।
আমার হৃদয়ের ভাঁজে ও ভালবাসার নির্যাস নীল রঙ মিশে গেছে ।
একদিন এই অতৃপ্ত ভালোবাসা হুঙ্কার দিয়ে  
গরজে উঠেছিল বীর সেনানীর মত !
কিন্তু আজ বয়ঃসন্ধিকালে যখনই এই অবেলায়
বেলাভূমিতে গিয়ে বসি ,
সে নিজেই মনে করিয়ে দেয় সময়ের ধূসর রঙ  ।
এককালে এ বেলাভূমিত সতত সবুজ ঘাসের বিছানা ছিল
প্রাণ চঞ্চল কিন্তু আজ শুধু ক্ষণভঙ্গুর ধু ধু চড়াচড় বালুচর ।
সে আমাকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়,
সমুদ্রের সুগভীর জলাধির নীল রঙের দিকে;
যে গভীর ব্যাথার উচ্ছল প্রতীকী ।
মাঝে মধ্যে একটা সাদা বগ উড়ে যেতে দেখি।
চারিপাশে তার জল আর জল ....
আমি ও আমার পুরোনো সেই ভালোবাসা ,
সেই নীলা ধারায় ভেসে ভেসে যাই অন্তহীন পথে ।


বাবুল আচার্যী     16/09/2017