আরো একবার আমর্ত্য সময় থমকে দাঁড়াল !
অকস্মাৎ ঝড়ের বেগবাহী প্রবাহে_
একটি সবুজ পাতার স্খলন,
জীবন্ত অধ্যায় থেকে টুপ করে যেন ঝড়ে গেল ।
এর পর আরো প্রতিবেশী বৃক্ষ থেকে .....
এক এক করে চলে যায় ওরা মরনের ওপারে ।
যেখান থেকে আসেনা কেউ আর ফিরে এপারে।
একি কাল একি সময়, সময়- সমিতির গ্রহ পুঞ্জে !
মৌনমূখর গুরু গম্ভীর থমথমে চারপাশ ;
কালবেলায় তরী নেই কোন ঘাটে আশপাশ ।
সময় বয়ে যায় দরদী বাতাস কে সাক্ষ্য রেখে ।
কেহ আসেনা, সৌভাগ্যের দরবেশে সেই পথে ।
শ্বাসরোধী বাতাস বারবার ব্রহ্মাণ্ডে মিলতে চায়,
যেখানে সবকিছুই ভাসমান, অদৃশ্য নিরাকার ।
এরপরে গতিপথে অবরোধ, যানজট, গতিরোধ,
জমায়েত সব , ...বারিধারা গতি পায় যেমনে নীচু পথে
এক পশলা বৃষ্টির পর_
কলকল, গল গল, কলরব অবিরাম ।
পৌষের সন্ধ্যায় সব মুখ যেন ঘনশ্যাম ।
উদগ্রীব কলস্রোতে কম্পিত_
হৃৎপিণ্ড গুলোর হতাশ চাহনি ।
দুঃখ বিষাদ ভরা পর্বের আর কি দেবো পরিচয় ?
জীবন অঙ্কের পট কালে করি শুধু অভিনয় ।
বৈচিত্র্যময়ী তুমি অন্ধকার পরপারে ...জানিনা,
সব রঙ ফিকে হয়ে যায় কেন তোমার দরবারে ?
বিপর্যয় তুমি নামহীন গোত্রহীন রেখা !
শিরা- অবয়বে পাই না তোমার দেখা ।
অকম্মাৎ অচিরে র প্রাচীরে তোমার কেন বাস ?
মনে হয়, বদ্ধ ঘরে ফুলে ওঠে তোমার নাভিশ্বাস ।
তাই ত তুমি বেড়িয়ে পড় মুক্তির হাওয়ায়_
মিনারে , প্রাচীরে ,শয়নে- স্বপনে, আগোছালো রাস্তায়
আর প্রাণ নিয়ে খেলা করে যাও নিজের ইচ্ছায় ।
চৌরাস্তার মোড়ে অভাগার রক্ত-রাঙা শরীর,
নিঃশ্বাস মিশে যায় ধরণীর বুকে, আঁচলে ।
ধরণী মার পাঁজর আঁচড়ে ক্ষত-বিক্ষত ;
ধুসর মেটে আঁচল অস্তগত সূর্যের রঙে রাঙায়িত।
জলন্ত দুপুর এভাবে কতবার নিস্তেজ হবে ক্লান্তির সন্ধ্যায় ?
আর কত চাঁদ ডুবে যাবে ঘোর রাত্রির অমাবস্যায় ?
নিমীলিত নয়ন বদ্ধ অয়ন আজ অন্ধকার ।
এক একটি প্রশ্ন চিহ্ন ঝড় তোলে বারবার ;
রেখে গেছে ব্যথায় ভরা কুহেলি ভরা সব সকাল ।
মায়ের মনে সব কিছুই আজ ঝাপসা ,
রামধনু তাই বর্ষার আগমনী বার্তা পাঠায়_
রক্ত চক্ষু সূর্যের রঙীন বরণ খামে_
আগমনী দিন প্রতিদিনের জলজ অধ্যায় ।
দিন ঢলে যায় এমনি করেই_
অস্তাচলে মনে হয় এসে গেছে বিকাল ।
বাবুল আচার্যী 24/01/2018