নীলাঞ্জনা, তোমার নামটাই যথেষ্ট.
ছোট্ট একটা নামাঙ্কণ,কিন্তু অন্তর্নিহিত পদবী অনেক ।
তোমার চোখের বৃত্তে নীলমণি মনে করিয়ে দেয়
সপ্ত সমুদ্রের অগাধ বিস্তিত জলরাশি !
যার নেই এপার ওপার, যার নেই কোন কিছু হারাবার
যেদিকে তাকাই শুধু জল আর জল
শুধুই নীল আর নীল, নয়ন পেরিয়ে, মনে আনে হাহাকার।
এ হাহাকার গোটা বিশ্বের সবাকার ,
শূন্যতা, নির্জনতা এক বিরাট ফাঁকা চৌচির খাই ;
যেখানে কোন এক নির্জন মূহুর্তে ,আমরা পুড়ে সব হই ছাই
সেই নীলিমার নেই কোন কুল, নেই কোন পাড় ......
মনে হয় মাঝে মাঝে, আমি বড়ো নিঃস্ব ,একাকী _
নির্জন দ্বীপে বাস আমার, তাই ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলি বারবার ।
ঐ সমুদ্র দিগম্বরীর সাথে মিলেমিশে হয় একাকার ;
দুরে আরো দুরে, দিগন্তে , সীমাহীন প্রান্তে ,চুমু খায় বারবার ।
সপ্তরঙ্গী সূর্যকে নিজ নীলাবাসে জড়িয়ে ধরে রাখে ,
হৃদয় গহীনে গভীর অতল তলে প্রতিবিম্ব ফেলে ।
বাঁধনে উচ্ছাস প্রকট করে ।
তরঙ্গ স্পন্দনে সাড়া দেয় ,
জলের ধমনীতে বেগবাহী জল ছলাৎ ছল ছলাৎ ছল_
শব্দ- তরঙ্গে উচ্ছাস জাহির করে ।
বুক ফুলিয়ে উঠা নামা করে, নাচে গায় , কাকলির কলরব শুনি ।
যখনই সমুদ্রের জোয়ার ভাটা উঠা নামা করে ....
নীলাঞ্জনা!  তোমার নামটা আমার খুব মনে পড়ে ।


বাবুল আচার্যী    31/01/2017