ঊষা লগনে,রবির আগমনে
নিষ্প্রাণ-নির্জনে,
দূর্দম-দুর্গম পাহাড়ি বনে।
ছন্দিত প্রাণে,
জীবন জীবিকার্জনে,
ছুটছে তারা আপন মনে।

আঁকাবাঁকা মেঠো পথ যেন সীমাহীন
ছুটছে তারা পায়ে হেঁটে আধুনিক-যানহীন।
জীবন যুদ্ধজয়ে যেন
তারা দৃঢ়তায় আপোসহীন।

স্কন্দে ঝুলন্ত অবুঝ শিশু, তাদের হস্তে লাঠি।
নিরন্তর ছুটছে বনে
নিয়ে তাদের দা-বঁটি।
সন্ধ্যায় ফিরে,
ভাঙা কুটিরে,
মাথায় নিয়ে এক বোঝা শুকনো ডালের আঁটি।
ভোর হতে সন্ধ্যা অবধি খেটে যায় নিরবধি
তাও জুটে নাকো
এক টুকরো শুকনো রুটি ।
অযতনে ফাটিয়া গিয়াছে  তাদের পাদুকাহীন পা দুটি

আছেন যারা বিত্ত
ছুটে যায় নিত্য
দর্শনে পাহাড়ি ঝর্নার নৃত্য।
কখনও ভাবেন কি তারা?
এখানে বাস করে কারা? বানিয়ে নলখাগড়ার ডেড়া।
ছিন্নভিন্ন বস্ত্র তাদের-
জীবন তাদের পাল ছেড়া তরী
দুঃখ,দৈন্য জীবন তাদের সুখ যেন বৈরী।
তাদেরকে সভ্যতার আলোয় আলোকিত করবে
কে আছো কান্ডারী?

রঙিন স্বপ্নে বিভোর যারা
শুনে রেখ সমাজপতি ও বিত্তবানরা।
দুঃখ-কষ্টে জীবন ভরা
শুধু পাহাড়িদের জীবনধারা।