১৯৭১ সাল
তখন আমি ছোট্ট কিশোর ছেলে
তখন আমি বুঝতাম না কিছু
সবে মাত্র স্কুলে যেতাম
হাটি হাটি এক পা দু-পা  করে।
১৯৭১ সাল
তখন সবার মুখে শুনতাম
যুদ্ধের শ্লোগান
রাত হলে সবে কাঁপতো
ভয়ে থর থর।
১৯৭১ সাল
তখন ছিল অস্ত্রের কারুকাজ
প্রতিটি লোকের কাছে ছিল
বন্দুক পিস্তল আর রিভলভার
নিজের জীবন রক্ষায়
সবাই থাকতো বদ্ধ পরিকর।
১৯৭১ সাল
বড় মায়া ভরা ছিল সেই সাল
প্রতিটি দিন আর প্রতিটি ক্ষন
কাটতো যাদের প্রতিক্ষায়
জীবন যুদ্ধের আঙ্গিনায়।
১৯৭১ সাল
সবার মুখে ছিল জয়গান
আসুক যত ঝড়
আনতে হবে বিজয় মোদের
এই তো মোদের পণ।
১৯৭১ সাল
কত যে মানুষ মরছে ধুকে
পাইনি খেতে ভাত
অনাহারে উপোস থেকে
মরছে কতজনে।
১৯৭১ সাল
সবার স্বপ্ন ছিল মুঠো মুঠো
ভেঙ্গে দেবে শত্রুর কালোহাত
জুলুম শোষনের সব কারুকাজ
রক্ত যদি দিতে হয়
দেবে সবে বলিয়ান।
১৯৭১ সাল
ওৎ পেতে থাকতো
সব হায়েনার দল
সুযোগ পেলেই করতো আঘাত
মারতো যে লাখে লাখ।
১৯৭১ সাল
ইচ্ছে ছিল তখন আমার
অস্ত্র নিতে কাঁধে
যুদ্ধে যাবার জন্য আমার
মনটা কাঁদতো ক্ষনে।
১৯৭১ সাল
আমি ছিলাম নিরুপায়
বড়ই নির্বিকার
মুখ বুজে সয়েছি আমি
কত চাপা কষ্ঠ
আমি ছিলাম ছোট্ট খোকা
পারিনি যেতে তাই
মনটা আমার কাঁদতো শুধু সারাবেলা।
১৯৭১ সাল
কত যে মা বোন
কাঁদতো ঘরের কোনে
আসবে কখন সোনার খোকন
ঘুম পাড়াবে কবে
দুক্ষে ছিল বুকটা ভরা
ঝড়তো চোখে জল।
১৯৭১ সাল
তবু ছিল মুখে হাসি
সদা সর্বক্ষন
খোকন গেছে যুদ্ধে আমার
বিজয় আনবে লুটে।
১৯৭১ সাল
আকাশ বাতাস ছিল ভারি
করুন আর্থনাতে
আমার বোনের ইজ্জত যখন
নিয়েছিল লুটে পুটে
কত যে সর্বনাশ দেখেছি
আমার দুটি চোঁখে
প্রতিবাদি আমি পারিনি হতে
আজো মনে পড়ে।