প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গে খুব সকালে
টেবিল ঘড়ির টিং টিং আওয়াজে
হয়না তো ঘুম পূর্ন তবু
তবু ঘুম ভেঙ্গে যায় প্রত্যহ সকালে।
ছুটে যেতে হয় কর্মস্থলে
ঘুম ঘুম দুটি চোখে
কর্ম ব্যস্ততার তাগিতে
শত দুক্ষ বুকে লয়ে।
এখানে নেই কোন আপনজন
নেই কোন ভালবাসার বন্ধন
প্রতিটি কাজের জবাবদিহিতা
আর আছে কাজের কৈফিয়ত।
তবু ঘুম ভাঙ্গে প্রতিদিন আনমনে
নাই কারো ভালবাসার হাতছানি
নেই কোন অভিমান নেই অনুরাগ
নেই কোন ভালবাসার প্রতিশ্রুতি।
চলছে তো চলছেই নেই কোন বিরাম
অক্লান্ত মন নিয়ে ছুটে চলছে
প্রতিনিয়ত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমে
কারো নেই সহানুভূতি।
কখনো রাতে ঘুম আসে এক মুঠো
আবার কখনো বা পুরো রাত জেগে থাকে
স্বপ্নের জাল বুনে বসে বসে
হৃদয় মন্দিরে শত দুক্ষ লয়ে।
কখন যে হয় সুর্যদয় আবার অস্তদয়
দেখীনাতো ধ্রুপতারা লক্ষ তারার খেলা
মেঘালয় আকাশটাতে মেঘের লুকোচুরি
হাজার গর্জনি।
নাই তো কোন কাকাতুয়ার
ভোর বেলাতে ডাক
শুনিনা তো আযান ধ্বনী
মোয়াজ্জিনের সুর।
আছে শুধু দালান কোঠা
আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
রং বে রংয়ের গাড়ির সাঁড়ি
বহুরুপী নারী।
ঘাম ঝড়ানো কষ্ঠ সে যে
ভর দুপুরে আবার
স্বপ্ন গুলো ঝড়ে পড়ে
ঝড়া পাতা হয়ে।
নাই তো কারো কোমল মনে
খোকন বলে ডাকা
কাজ কর্মে কাটে আমার অমানিষা বেলা
বিরতিহিন চলছে যেন জীবন চলারপথ।
পাই না খুজে সুখের দেখা
দুক্ষে কাটে সারাবেলা
নাইরে আমার আপনজনা
পাইরে কেবল প্রবন্জনা।
সুখের প্রদীপ নাইরে ঘরে
দুখের বাতি জ্বলে
হায়রে আমার প্রবাস জীবন
কেমনে কারে বুঝাই।