কবি কাউকে কখনো কোন দুক্ষ দেয় না
কবি কাউকে কখনো কষ্ঠ দেয় না
শত দুক্ষ চেপে বুকে সে হাসে
কাউকে কখনো বুঝতে দেয় না।
কবি সে এমনি একজন
অন্যর প্রয়জনে নিজেকে বিসর্জন করে
বিনিময়ে সে অনুদান চায় না
সব বিলিয়ে দেয় কবির ভাষায়।
কবি শত দুক্ষ পেয়ে সে হাসে
বেদনার যে জাল হৃদয়ে জড়িয়ে
সে আপনে নিবিড় করে ভালবাসে
কাউকে দেখতে দেয় না অবলা কষ্ঠ ভরা।
কবি লেখনির ভাষায় কলমের খোঁচায়
কবির কষ্ঠকে ফুটিয়ে তোলে
কবির মন যদি না থাকে ভাল
তবু সে লিখে যায় অনন্তকাল।
কবির মন থাকে কখনো চন্চলতা
কখনো বা হারিয়ে যায় উদাসীনতায়
কবিকে বোঝা বড় দায়
কবি অবিরাম লিখে যায়।
কবি কাউকে কখনো তুচ্ছ ভাবে না
ভাবে না কাউকে পর
কবির বিশালতার বুকে ঠাঁই পায় সবে
তাইতো আজ হয়েছে সে কবি।
কবি ছন্দে ছন্দে লিখে কবিতা ও গান
কবি তো হয় সেই জন
যে লিখতে পারে অবিরাম
দুক্ষ কষ্ঠ সমান্তরে।
কবি শত বাঁধা পায়ে পিশে
সত্যকে করেছে সে জয়ী
লেখনির বলে মিথ্যাকে গলাটিপে
করেছে কবর রচিত।
কবি কখনো দেয় না আঘাত
কোমল হৃদয়ে সে
কখনো হাসিতে উৎফুল্ল সে
কখনো বা অনুরাগী বড় উদাসী।
কবি দুঃখীকে কভু দেয় না দুক্ষ
দুক্ষকে তুলে ধরে কবিতার ছন্দে
কবি কখনো করে না অহংকার
নিজেকে ভাবে না উচ্চ বিলাস।
কবি কখনো কষ্ঠ দিতে পারে না
কষ্ঠ পায় তব সে সয়
নিজেকে করে উৎসর্গ
কবি উদার চিত্তের একজন।
কবির চোখে নেই হিন্দু মুসলমান
সবাই সম কাতারে
দেখেছে সবি একি দৃষ্টিতে
তাইতো আজ সে হয়েছে কবি।