তৃষা, আজ আমার মন ভাল নেই
তুমি একটু আগে যত্নে রেধেছো যে মুরগি ও করলা ভাজি
হয়েছে কি নেয়া তার স্বাদ
এই ক্ষমাহীন তীব্র খরার দুপুরে
তুমি এখন কি করছো আমার বড় জানতে সাধ হয়।
তোমাকে দেয়া শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতার বইখানি পড়েছ কতটা
আমাকে শুনাবেতো একদিন?
এখন কি তুমি হাঁটছো বারান্দায়
নাকি গল্প করছো তোমার কোন বান্ধবীর সাথে
তোমার সুখের গল্প,তোমার দুখের গল্প
তিতাসের গল্প
আমার বড় সাধ ছিল
তোমার সাথে তিতাস পাড়ে করবো স্বপ্নের আবাদ
সে সাধ সত্যি কি হবে কখনও?
সত্যি করে বলতো আমাকে কি মনে পড়ছেনা তোমার
তবে নিজেকে এত লুকাও কেন বল
লুকিয়ে লুকিয়ে নিজেকে কত আর শাস্তি দেবে
তার চেয়ে প্রাণ খুলে ভালবাসো
চল আজ বলাকায় দেখে আসি সিনেমা এক
না হয় শিল্পকলা বা রমনায় চল
এই তপ্ত রোদে পাশা পাশি বসে তুমি আমি ঘেমে উঠি
আমার ঘাম মিশে যাক তোমার পবিত্র ঘামের সাথে।
সন্ধ্যায় ঘুরে আসি চল কোন এক কফি শপ থেকে
দুজনের চোখে চোখ রেখে পান করি চুমুকে চুমুকে ভালবাসা।
জীবনে কদিন আছে আর বাকি
যত দিন আছি কাছাকাছি
না হয় হয়ে রই একটু নিবিড়
না হয় ঠোঁটে ঠোঁটে কাটুক কিছু স্বর্গ সময়।


তুমি এভাবে কত রাধবে নিখাঁদ প্রেম দিয়ে
মুরগি,পোলাও,সাদা ভাত ঝর ঝরে
অন্য কারো জন্যে কত বার তোমার ব্যস্ত হাতে লাগবে
ইলিশের শরীর থেকে তপ্ত তেলের ছিটা
তিতাসের পাড়ে হয়তো আর কারও সাথে হবে তোমার অভিসার।
তবু যতদিন পারি এসো ভালবাসি কেবল
ভালবাসা ছাড়া বড় পরিনাম ভালবাসার কি হতে পারে আর
আমাদের হৃদয় ফলকে এসো রক্তের অক্ষরে
এই বিরুদ্ধ সময়ের বিরুদ্ধে লিখি প্রণয়ের ইতিহাস।