তোমারই শিশু,গর্ভে তাকে কেমন করে হত্যা করো?
মুখ দেখনি বলেই তবে-তাকে তুমি জড় ভাবো?
পাথর ভাবো?ফেলনা ভাবো?
ফুলের মত শরীরটাকে কেমনে কাটো,কেমনে ছিঁড়ো?


প্রকাশ্যে যে খুন করেছে তারই কেবল বিচার হবে?
অগোচরের খুনীরা সব পার পাবে আর মিটিং মিছিল তপ্ত হবে মানবতার গরম ঘামে?
এতই সহজ প্রাণের দেনা?
কচি মুখে শাবল মেরেও খাবে তুমি কোরমা পোলাও?


বুকের ভেতর বুক কাঁপেনা অধম তোমার?
চোখ কাঁপেনা?হাড় কাঁপেনা?
পূর্ণ রত্ন কিসের লোভে রক্তে ডুবাও?
জানো না যে কন্ঠে তার তোমার জন্য ভাষা আছে
হাতের মুঠোয় তোমার হাতের ইচ্ছে আছে।


একটি শিশু-এক পৃথিবী
একটু হাসি-বিশুদ্ধতার এক মহাকাশ
সেই পৃথিবী সেই আকাশটা কেমন করে নষ্ট করো?
কেমন করে তুলতুলে গাল পিষ্ট করো?


খোদার দোহাই,এই পাপাচার বন্ধ করো
এই অনাচার রুদ্ধ করো
নইলে তুমি কলঙ্কিতের তিলক পাবে
নইলে তুমি মানুষ খেকো পিশাচ হবে।


(কাব্য গ্রন্থঃ কারাবন্দী আর্তনাদ)