এখনো যৌবনের কালকূটে বিষাক্ত শরীর
খুড়ে খায় কালের অন্ধকার আর আলো,
কারো তাতে ধ্যান নেই, জ্ঞান নেই, সবাই যে যার মতো ।
হয়তো প্রকৃতির কোন বংশী বাঁকে সাপুড়িয়া বিন বাজে,
হয়তো সে সুরে ইন্দ্রজাল বুনতে
কালনাগিনীর মতো ফণা তুলে
বাঁশবনে জেগে উঠেছে পূর্ণিমার যৌবনি চাঁদ,
হয়তো তাতেও কোথাও কোন সায় নেই!
সর্বত্র হতাশার বিষাদ ছায়া, অপূর্ণতা ।
ক্ষয়িষ্ণু অমাবস্যার যন্ত্রণায় কাতর
অরন্য, জলাধার আর আমি যেন
একই যৌবনের কালকূটে বিষাক্ত ।
এমনি সহসাই পূর্ণিমার চাঁদের মতো মনে পড়ে তোর মুখশ্রী,
পাখির পালকে আর নরম বাতাসে উড়া স্বপ্নরেনু হাতে
যেদিন তুই এসেছিলি মেঘমল্লারে গান শুনাতে সেইথেকে
তুই আমার জীবনের হতে পারতি রাত জাগা তারা,
হতে পারতি ময়ুরাক্ষী জলের ঢেউ বা কচুরিপানা,
দস্যি মেয়ের মতোই তুই কামড়াতে পারতি গাল,
পদ্মপাতার জলে ধোয়া তোর ঠোঁটে নিতে পারতি
আমার কুসুম পল্লবের হিমেল ছোয়া
নিতে পারতি, হতে পারতি সব, যদি চাইতি..
বিভীষিকাময় রাতের আঁধারে লক্ষীপেচার মতো ডানা ঝেড়ে
অথবা ইদুঁরের মতো কাছে এসে আমার বিষে বিষাক্ত হতে!
জানি পূর্ণিমার এই যৌবনি চাঁদের সিগ্ধ আলোর স্রোতে
অরন্য আর জলাধার সব ভুলে যাবে
কিন্তু অপূর্ণ কালকূটে বিষাক্ত যৌবনে
ফাঁদ পেতে চাইবো সেই তোকে
চাইবো না অন্য কারো  নিশাচরী জীবনের সঙ্গ
চিরকাল তোর কেশের গন্ধ হাসনাহেনার মতোই এটে রাখবো
তোর শ্যামলা বরণ মেঘের উষ্ণ পরশ পেতে মিনতি করবো
তুই আঁয়, শুষে নে এ কালকূটে বিষাক্ত সমস্ত যৌবন;
নয়তো মিলিয়ে যাবো আঁধার
ডুব দেবো বেনোজলে যেমন ডুবে যৌবনি চাঁদ