বিদ্রোহের মত একটি অসুর ঘাতক, দানা বেধেছে আজ কোমল মনে
আগুনের উত্তাপে কাঁপে চূর্ণ হৃদয়, শত সহস্র কাঁপনের দাবালনে।
আমি রণক্লান্ত তারপরও নেব নাক বিশ্রাম, ছুটব সব যাতনার পদভার নিয়ে
নীলাদ্রির ঔ আবছা নীল কেটে, রক্তিম সূর্যটা এনে দেব
সব নিয়মের বেড়াজাল অনিয়মের কাফনে মুড়িয়ে।


প্রকৃতির সব শুদ্ধ নিয়মের বাইরে গিয়ে, আমি গড়ে নেব আমার পৃথিবী
যত অনিয়ম আমাতে হয়েছে বিলীন, আমি শুষে নেব সব আমার শুষ্কতায়।
সুনামির তীব্র ঢেউ যেমন আছড়ে পরে উপকূলে,
ধ্বংসের লেলিহান শিখায় যেভাবে সব গ্রাস করে অগ্নি,
তেমনি করে ছুটব আমি, মরু নেকরের মত দ্রুতপদে, সংগোপনে।
শত নিয়মের, হাজারো শৃংখলার মুখে করে চপেটাঘাত
আমি হাকাব আমার স্ট্যালিয়ন পথের বাঁকে বাঁকে নির্জনে।


পেছনে আকড়ে ধরার চেষ্টায় রত যারা,
যারা আমার হিমাদ্রির চুড়ার ধ্বংসাবশেষ দেখার অপেক্ষায়
ওদের বঞ্চনার তীব্র আর্তনাদ দেখব চেয়ে আমি,
ঐ বর্বর চেঙ্গিস, তৈমুরের মত।
আমার যাতনার যত ঋন, শুধিব রক্তের দামে
আমার প্রানের উচ্ছাসগুলো যারা কেড়ে নিতে চেয়েছিল,
তাদের পতন দেখব কোন এক সংকোচিত গিরিখাদে,
আমি ভাসাব আমার রণতরী, ঐ জালিমের রক্ত নদে।


আমার পৃথিবীর ঈষান কোণে, কৃএিম মেঘের ঘনঘটায় যারা পুলকিত,
তাদের উপর পতিত হব আমি বজ্র্রপাত হয়ে,
ধ্বংসের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখবে অন্য পৃথিবী
মাউন্ট সিনাবাংগের আগ্নেয়গিরির নারকীয় লাভার মত
আমি বিদ্ধ করব সঞ্চিত খঞ্জরখানি, কোন এক মানুষরুপী রক্তচুষা ভ্যাম্পায়ের বুকে
আমি বিদ্রোহী বীরের মরন বুকে নিয়ে, থাকব অপারে মহা সুখে।