সুর্যের প্রথম সোহাগ পুকুরের জলে
দিনান্তে সব মায়া ফেলে-
আকাশের বুকে সে তারা হয়ে জ্বলে...


আমার ছেলেবেলার কবিতা।
উৎসাহ দিয়ে তখন অনেকে বলেছিলেন-
লেখো লেখো, অনেক কিছু লিখতে হবে তোমায়...
সেই থেকে কবিতার প্রতি আমার প্রেম-ভালবাসা।


আমাদের ছোট নদী চলে অাঁকে বাঁকে...
অথবা মেঘের কোলে রোদ হেসেছে
বাদল গেছে টুটি...
পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়তাম, স্বপ্ন দেখতাম।
একদিন এক মহর্ষি এসে বললেন-
কবিতাটা আমায় দাও, এ যে আমার কবিতা।
শ্রদ্ধায় ভালবাসায় অর্পণ করেছিলাম
আমার প্রথম কবিতা সেই মহর্ষিকে।


তারপর অনেক কবিতা লিখেছি...
লিখতে লিখতে রোদ্র-আধারে
সাগরের কাছাকাছি।
ঢেউয়ের শব্দে শুনেছি -
অনেক কিছু লিখতে হবে তোমায়...
লিখতে চেয়েছি কিন্তু পারিনি,
আমি লিখতে পারিনি-কৃষকের আত্মহত্যা,
অনাহারে শ্রমিকের মৃত্যু
অথবা ধর্ষিতা নারীর আকুলতা।
আমার লেখনি নির্বাক নিশ্চল
কোন অলীক খেতাবের মোহে।


আর কোনদিন আসেননি সেই মহর্ষি
আমার কবিতার অঙ্গনে- কবিতা নিতে।
হয়তো আমি আর লিখতে পারিনি তার কবিতা।


দিনান্তে আজ সব দীনতা বিসর্জন দিয়ে
সেই মহর্ষির জন্য অন্তহীন অপেক্ষা আমার।


-----//-----       (১৪/০৫/২০১৭)