আমার মৃত্যু হবে সেদিন
দু’চোখ এড়িয়ে যাবে দূর্বার ডগায় শিশিরমুখ।
ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে  খুঁজতে যাবে রমণসুখ।


আমার মৃত্যু হবে সেদিন
ঘরবাড়ি ভোরের সকাল ছুঁতে পাখির শিসে
ভুলে যাবে দু’হাত মেতে।  
বৃষ্টি ফোঁটা তুলে মাটির মাধুর্য ধানের শীষে
ভুলে যাবে ভিজে যেতে।

আমার মৃত্যু হবে সেদিন
শহুরে টাওয়ারের ঝুলবারান্দার রেলিং ধরে
খুঁজতে যাবে গ্রাম্য আকাশ।
মাথার বালিশে ঘুমের পিলের সৌন্দর্য ভরে
ধরতে যাবে রম্য আভাস।  


আমার মৃত্যু হবে সেদিন
মায়ের হাতের স্বর্গ পায়ে ঠেলে পৌঁছে দিতে
ছুটতে যাবে দূরের বৃদ্ধাশ্রমে।
বেচেবুচে বাপের রক্তঘাম ব্যক্তিত্ব কিনে নিতে  
রেখে যাবে শ্বাপদ লজ্জাস্রমে।


আমার মৃত্যু হবে সেদিন
উড়ে এলে একঝাঁক প্রজাপতি পাখা মেলে জ্যোৎস্নার
অন্ধকার শরীর আর উঠবে না জেগে খুলে দিতে দুয়ার।