আর কবিতা লিখে উঠতে পারিনা।
তবু লেখার কলম একলা ছেড়ে যেতে পারিনা।
যদিও নিঃশ্বাসের উচ্ছ্বাস বুকের পাঁজর ভেঙে শব্দেরা  
উদ্বাস্তু আঙুলের স্পর্শ নিতে আর উৎসাহী নয়।
কবিতার খাঁচার ভেতর আকাশ তেমন নয়  বলে...


এক এক করে শব্দেরা ঘর ছেড়ে চলে যায়
নিজের নিজের মৌচাকের বাসিন্দায়
গুঁজে অজস্র সখ্যতার শর্ত বালিশের তলায়।


রোজ দু’বেলা শব্দ খুঁজে বেড়াই   ...  
এখানে সেখানে সাঁজোর বিলাসে। জ্যোৎস্নার আঁচে।
প্রেয়সীর সহবাসের গন্ধে। সকালের অগোছালো বিছানায়।  
বাসি কাপড়ের কোঁচড়ে । ঘরদোরের ধুলোঝড়ে । এঁটো বাসনে।
উঠোনে পড়ে থাকা রোদের উত্তাপে। চায়ের চুমুকে। চুপ চুম্বনে।  
স্নানের নগ্নতায় । প্রণামের আঙুলে। সংকোচের  কাঁচে।
আড়ালে বুকভারি বারবনিতার দোরে। নির্বিশেষে ‘ইউজ মি’ ডাস্টবিনে।  


প্রকৃতির দু’হাত ছুঁয়ে যায় আমার কবিতার শেষ পাতা।
রেখে যায় তার চোখের দৃষ্টির ছাপ। স্পর্শটুকুর অধিবাস।  
নিঃশব্দতার নির্নিমেষ কোলাহলে জানিয়ে যায় দুর্দিনে  
দুর্যোগে প্রতিবাদী হও। না হলে তোমার একদিন সর্বনাশ।

বৃষ্টি এসে ধুয়ে যায় কথার নিমিষহারা সোহাগ।
কবিতারা সুখে আছে। জীবনে আরো কিছু খোয়াক মেনে।
আমি আজও শব্দ খুঁজে বেড়াই  কবির মৃত্যু নেই জেনে।


বিকাশ দাস / মুম্বাই