তুমি বরং আমাকে একটি কবিতা শোনাও।
নয়তো গল্প।
কিসের গল্প?
এই যেমন ধরো পৃথিবী গোলাকার।
অথবা যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা।
নয়তো  
ঈশ্বরের প্রেমিকা নেই।
অথবা কোনো রোমান্টিক কচ্ছপের কাহিনী।


তুমি তো জানোই-
আমার ভালবাসার মানুষ নেই
তাই নিজের কোনো গল্পও নেই।


যদি শোনাই নিরাকার ঈশ্বরের গল্প !
তুমি চেঁচিয়ে উঠবে-
এই আবার কোন অসুখ নিয়ে বসবাস কর হে !
বিজ্ঞান নিয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিবে
এটাও জানি-
ধর্মান্ধ বলে বিদ্রুপ করবে।
চোখ রাঙাবে ঈশ্বর আর বিজ্ঞান একসাথে চলে নাকি?


থাক থাক।
তুমি বরং গোলাকার পৃথিবীর গল্পই বলো।
অথবা ইউসুফ-জুলেখার !
আমি উচ্চাঙ্গ সংগীতও ভালবাসি
ওই দিকটায়ও ভাবতে পারো।


আমরা প্রত্যেকে কোনো না কোনো বিষণ্ণ বেদনা নিয়ে ঘুমুতে যাই।
মঙ্গলে প্রাণ নেই কেন?
ঈশ্বর নিরাকার কেন?
এই আমাদের জীবনের গাঢ় অসুখ।
আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করি আত্মাকে পাশ কাটাই।
আরো কিছু উপাত্ত পেলে বিজ্ঞান জিতে যায়
গভীর বিশ্বাসে ডুবে থেকে-
বিশ্বাসীরা নিরাকার ঈশ্বর খুঁজে পায়।


গল্পের এখানেই শেষ নয়।
দুরন্ত নারীর ভালবাসা পেলে গল্প ছেড়ে আমিও কবিতা লিখবো।