তোমাকে ছুঁয়েছিলাম সেইদিন, এইখানে এই
অরণ্যের দেশে
পাতা ঝরা গানে-
সেদিন পঞ্চমী ছিলো, আধ ভাঙা চাঁদ
দেবদারু সখা ছিল, হেলানো উঠানে
বাতাসে মর্মর ছিল, গোপনে বলেছিল কিছু!
তুমি ছিলে, অন্তরীক্ষে ছায়া হয়ে-
রোদের পালকের মতো মসৃণ কিছু লেগেছিলো
গায়।
তোমার শরীর?
নির্জন ঘাসের মতোন,ছড়ানো বাষ্পের মতো,
ছেঁড়া তার, আলোর মাছির মতো তুমি কাত হয়ে
ছিলে-
ঢেউ ভেঙে ঝরে গেছে দুর নাবিকের বায়ে;
ফাগুন রাতের গন্ধ বেয়ে নেমেছিল আরণ্যক
আলো-
ঘুম কাতুরে অলস চোখের পরে এসেছিলো
দিকভোলা জ্যোৎস্নার আবির
আধো অন্ধকারে, অধীর বাতাসে।
কম্পমান নির্জন ঢেউয়ের মতোন পিপাসা
জেগেছিলো বাধাহীন হৃদয়ে তোমার,
আমার চোখের ভাষা মৃত্যুর মতো নীল হয়ে
মিশেছিলো
কবরের ভুতের মতোন।
শেই শুরু সেই শেষ
সেই কবে বয়ে গেছে দুরন্ত মেঘেদের মেলা
মানুষের ভিড়ে, অচেনার দেশে
সেই স্মৃতি সেই আকাঙ্ক্ষার অস্থিরতা লয়ে
কেটে গেছে বহু যুগ
সেই অরণ্যের দেশে, পঞ্চমী রাতের বিবরে।
আমি আজও কাত হয়ে শুনি সেই ভাঙনের গান
আধো ঘুম আধো জাগরণে নক্ষত্রের তলে-
সমুদ্র বিলাসে, যাযাবর মনের কোণে।