বিদ্রোহটুকু হাড়েই জন্ম নেয়, ঘাড়ে নয়।
তবে ঘাড় অবলম্বন বটে, ঘাড়ে চাপে!
চাপে, চাপে, এবং ক্রমেই লোকে হাঁপে।
অনেকের হাঁপানি ও হয়,
কিন্তু সেটুকু অস্তিত্ব নয়।
বিদ্রোহের অস্তিত্ব গত, চলত এবং অনাগত অতীতে,
হাড়েই কালশিটে দাগ ফেলে।


জ্ঞানত জানি, ফুটপাথেই প্রেমিক বদলায়,
এবং ক্রমশই ফুটপাথের প্রতি বিদ্রোহ জন্মে!
তথাপি, পর্যায়ক্রমে,
আদিম কবির প্রাচীন পংক্তি চলে :
"আমি তোমাকে ভালবাসি"
পংক্তিটিও স্যাঁতস্যাঁতে ফুটপাথ মনে হয় ;
অতএব পংক্তি পড়ে বিদ্রোহ চলে।
তবুও নিয়মের প্রকৃতিতে সূর্যের আলো,
জোছনা হয়ে ঝরে!
কিন্তু সংগতই, যেহেতু রোমান্টিকতা হ্রাস পায়,
বিদ্রোহী ঘাড় ঝাড়ে ;
পংক্তি খোঁড়ায়, নবরূপ নেই - বিদ্রোহী শুধায় :
"হে রমণী,
তুমি যখন কোন প্রজাসিসৃক্ষুর,
ক্ষুদ্র, অপর্যাপ্ত, কেরাণী হৃদপিন্ডে আদি ধুকপুক কুড়াবে,
তখন জোছনা ও তোমায় দয়া দেখাবে না,
সঙ্গী হবে কৃত্রিম নিয়নের আলো।"


দিন যায়, স্মৃতি মরে।
হঠাৎ পুরনো প্রেম জাগাতে,
বিদ্রোহীর আলোকজ্জ্বল বাসরে,
বেহুলা হতে উন্মুখ নারী বিছানায় বসে!
বিদ্রোহী ঘোমটা তুলে,
খোঁড়া বাক্য ছাড়ে :
বলে "ঢের ভাল। হিমোগ্লোবিন তো লালই... নাকি!"


তবু হাড়ে বিদ্রোহ বাড়ে,
কালশিটে দাগ পড়ে,
তাতেই দীর্ঘশ্বাস সেই চিরচেনা দেহটিরে
                                চিরচেনা ফুটপাথে তোলে!
এবং সেইসব বিদ্রোহী কেরাণী প্রেমিক,
স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা ফুটপাথে,
আপিসের পথে চলে!