গুম করে কিল কষিয়ে পালিয়ে গেলো রাজা
বোঝেনি হাঁদা কোন দোষেতে মিলল এমন সাজা
নামে সে হলেও রাজা, এক মস্ত বড় গোঁয়ার
কখন যে কি করে বসে, কেউ ভাব পায় না তার ।
খাই খাই তার মজ্জাগত, বুদ্ধিতে সিদ্ধিদাতা বেচারাম
হাঁদারা পড়েছে দুশ্চিন্তায়, চুপিসাড়ে সারে বহুত কাম
হর হামেশাই লাগাম ছাড়া, বেচতে চায় ভাতের থালা
যুক্তি তর্কের ধার ধারে না, অকর্ম সাধনে বদ্ধ কালা।
ডাকাত সর্দারের পক্ষে রাজা, নিত্য প্রয়োজনের তালিকা ক্ষীণ
চোর বাটপার যোগ সাজসে ভাঁড়ার শূন্য দিনকে দিন
হাঁদারা সব খিদেয় কাতর, রোজগার নেই কর্ম হীন
ছেঁড়া মাদুরে স্বপ্নের ঢল, টুপটাপ ঝরছে সুদিন ।
আপন দিঘি ইজারা দিয়ে, পানি খায় সে পরের ঘাটে
ইচ্ছে হলে নেংটি বেঁধে; কুস্তি লড়ে ছায়ার সাথে
মল্লবীরের কায়দা দেখে ভিরমি খায় দেশের মানুষ
চোর কে বলে দাঁড়াও বন্ধু, দেখ কেমন উড়ছে ফানুস।
টান পড়লে দানের কথা; ঝুলিয়ে সামনে আমড়ার টোপ
কলিতে বসে ত্রেতায় মশগুল, দূরবীন লাগিয়ে গুনছে খোপ
পাহারাদারের ম্যাজিক মতি, চোরের হাতে ভাঁড়ারের চাবি
দিন দুপুরে তবলার বোল, হেঁ হেঁ চড়ুই আর কটা খাবি।
ভাবের ঘোরে জয় ধ্বনি; পাথর কাটার হল্লা ধুম
ধনুক ভাঙা পণের নেশায়; সুস্থ ভাবনার খোপরি গুম
খিদে ভোলাতে জ্ঞানের বুলি, হাঁদা ভোঁদাদের ছুটছে ঘুম
স্বপ্নে পাওয়া ভাবনা গুলো, চিমটি কেটে হচ্ছে গুম।
সোনারপুর
৬/১১/২০২০