কোন যাদুকর করল এমন ফিরিয়ে দিল হারানো শৈশব
ইকির মিকির, লুডো, দাবা, বাঘবন্দি, নাচে গানে কলরব
লুকোচুরি, কিত কিতে, ভুতের গল্পে মেতেছে দাদু ঠাম্মা সব
চার দেওয়ালে আমরা সবাই, হাসি মজায় ফিরেছে শৈশব।
পাখি দেখে, আকাশ চিনে কাটছে সময় সকাল দুপুর রাতে
বাবা মায়ের ঝগড়া নেই, কাটছে দারুন; সবাই সহমতে
কোন কাজেই নেই তো তাড়া, নেই স্কুল অফিসের ভাত
পা-ছড়িয়ে সবাই মিলে আড্ডা গল্পে গানে চলছে মৌতাত ।
বাড়ির পাশে নিম গাছটা সেজেছে নতুন পাতার সাজে
শালিক চড়ুই বুলবুলি টুনটুনি সারা দিন ডালে ডালে নাচে
মাঝে মাঝে হলুদ পাখি, ঘুঘু পাখি, পায়রারা সব আসে
জানালা থেকে দেখছি ওদের, ঝগড়া নেই আছে মিলেমিশে।
একটু দূরে জামের ডালে ভর দুপুরে একলা কোকিল ডাকে
বাবা দেখে বলল মাকে; বলত দেখি; ঐ কোকিলটা খুঁজছে কাকে
মা বলল পরে বলব, ত্রস্ত পায়ে গেল নিজের কাজে
বাবা বলল বন্ধ করতো টিভিটা, যতসব দেখাচ্ছে আজেবাজে।
দখিনের জানালা দিয়ে রোদ এসেছে, দেখছি নিজের ছায়া
ঠাম্মা হটাৎ হাসতে হাসতে এসে বলল; কি করছ মায়া
দেখ ঠাম্মা; ঐ মেঘটা খুব পাজি, এবার সূর্য দেবে ঢেকে
আমি ভাবলাম স্নানে যাব ; আর একটু রোদ মেখে ।
স্কুলে যাবার তাড়া নেই, আনন্দে ঘরেই পড়ি বাবার কাছে
সারা দিনে অনেক সময়, ঠাম্মার কাছে গল্প শুনি মাঝে
ঠাম্মা বলে পুতুলের কথা, পুতুলের বিয়ে হত ধুমধাম করে
দাদু ও গেছিল ঠাম্মা আনতে, সেজে গুজে টোপর পরে।
তবুও মনটা কেমন উদাস হয়, আসে না স্কুলের বাস
খাওয়া পড়া চলছে ঠিকই, সময়ের নেই ফাঁস
মা বকে না একদম, বলে না দেরি কেন ? জলদি কর
বন্ধুরাও বলে ফোনে ঘরেই আছে, বড্ড ভালো যাদুকর।
সোনারপুর
২৪.০৪.২০২০