হেমন্তের হিম দূর্বার মস্তক ছুঁয়ে এখন পায়ের পাতায়
ভেজা ভেজা মাটি, শুকনো পাতার গুঁড়ো সব লেপ্টে আছে
চাপ চাপ গাঢ় অন্ধকারে ডুবে মাঠ ঘাট চরা চর,
রাত জাগে দস্যি ছেলে আর নক্ষত্র দূর ছায়াপথে ।।


গভীর রাতের হিম জড়ানো ঢাকে ঘুম জড়ানো শব্দ
চন্ডী পাঠের সুর জানান দেয় তৃতীয় প্রহরের বার্তা
ছেলের দল গ্রামের শ্মশানে আধ পোড়া কাঠের গুঁড়িতে
আগুন লাগায়, কেউ বা বাতি দিয়ে শশ্মান জাগায় ।।


যে যার ঘরে ফেরে শেষ রাতে বিছানায় যাবে আয়েশী ঘুমে
কাল আর কাজ নেই সেই  সন্ধ্যায় যাওয়া নিরঞ্জনে
সবাইয়ের যায়না সমান, পাশের উঠান ব্যস্ত চতুর্থ প্রহরে
নিকষ আঁধারে এক চিলতে ঘরে বিছানায় যায় নিশ্চিন্তে।।


বোঝার আগেই দুটিহাত জড়িয়ে ধরে আস্টেপৃষ্ঠে
অজানা এক আশঙ্কায় ভয় পায়, বুঝতে পারে নারী দেহ
নিশ্বাসে শব্দ, এই চুপ শুয়ে পড়, ভয় পাওয়ার কি আছে,
বাঁধা পড়ে গভীর চুম্বনে নিবিড় বাহু ডোরে শেষ প্রহরে।।


ঢেউ জাগতে থাকে শরীরে ছেলের কিন্তু বোঝেনা কি হবে
যা বলে শুনতে থাকে ধাপে ধাপে পৌঁছায় দৃশ্যের শেষ অঙ্কে
সকালের সূর্য তখন অনেক উপরে ঘুম ভাঙ্গে মায়ের ডাকে
কিন্তু নিজেকে দেখে, ঠিক আছে তো সব,তাকায় না অন্য দিকে।।


মাথা নিচু করে খায় দায়, বার বার ভাবে কি হয়ে গেল
সবেতো ১৫ অতিক্রম করেছে আর  সে - তো ২২/২৩ হবে
এই শুনে যা এখানে, সামনে যেতে পারেনা লজ্জায়,
আদুরে গলায় শাসায়, খুব পেকেছিস, দাঁড়া তোর হবে।।