পেনসিলে লেখা- একদিন একা এস, এসেছিলাম
বর্ষার দূপুরে, টাপুর টুপুর বৃষ্টি ধারায় ভিজে ভিজে
ভাবনার দোলাচালে, অধীর মনের কথা শুনতে
তোমার ভেজানো দরজায় কড়া নেড়ে ছিলাম,
অঝোর ধারার মাঝে, কখনো একটু হাল্কা বিশ্রাম
তোমারই ঘরে, হাতে হাত রেখে শুধুই তাকিয়ে ছিলে।।


তোমার জোড়া ভ্রুর নিচে স্বপ্নরা পাখা মেলছিল
আমি বুঝেছিলাম, সেই দূপুরের নিরব থাকার দর্শন
চাহনির গভীরতা, অনেক অস্ফুট  শ্বাসের স্পন্দন
বৃস্টি থেমে ছিল অনেক পরে, মনের আকাশে রং ঢেলে
তারপর পথচলা, কঠিন দিন গুলোকে হার মানাতে
কিন্তু তুমি, তুমি শেষ পর্যন্ত নিজেই হেরে গেলে ব্রাহ্মন্য বাদে।।


এক বিকালের ঝরে পড়া আলোয়, আশারা ঝরে গেল
একটা চিঠি পেলাম, কবি তোমাকে ছোট ভাবতে পারিনা
আমায় ক্ষমা কোর, ভুলে যেও, নিজেকে দোষ দিওনা
মনকে বলেছিলাম, ঠিক, তুমি শুদ্র কূলজাত ,ভুলে যেওনা
দিন যায় সময়ের কাঁটায়, শুনেছি তুমি পেয়েছ সংসার
যদিও তখনো আমি ছিলাম, আকাশ ছিল অনেটাই অন্ধকার।।


সময়ের বাতাস আমাকেও ভাসিয়েছে, তবে সুখে নয়
কাল বৈশাখীর দাপট প্রায় উপড়ে ফেলেছিল আমায়
তুমি ছিলেনা, কবিতাও ছেড়ে গেছিল, তবুও  ছিলাম
এমনি ভাবেই বেশ কাটছিল, যদি সেদিন দেখা না হত
বলেছিলে অনেক কথা, কি ভাবে ঘর ভেঙ্গে কোর্ট
তোমার ব্যাথা হত মুখ, পরিবারে ব্রাহ্মন্য বাদের সুখ।।


অনেকটা সময় কেটে গিয়েছিল, তবুও হয়নি শেষ
বুঝেছিলাম, কথা শেষ হবার নয়, চোখে ভাসে সেই মুখ
বুঝিনি তখন, জীবন এমনই, ফিরে আসে চোরা স্রোতে
অপেক্ষায় ছিলাম, অনেক দিন, তোমার সুখেই গেছি সরে
অবশেষে তোমায় বাসে তুলে দিয়ে, এক রাশ ব্যাথা নিয়ে
ফেরার ট্রেনে শুধু ভেবেছি, বন্ধু,  অনেক দেরী করে এলে ।।