হাজার বাদে বাদে জর্জরিত সভ্যতা দিন গুনছে
প্রতিদিন, অশিক্ষা-ক্ষুধা-অসাম্যের পাহাড় মাথা তুলছে
অনন্ত সুখের বাসনা, অ-সুখের তীরে ঘুরে ঘুরে নিঃস্ব প্রায়
ডোবার আগে প্রাণপনে সব গিলছে - ঘুনধরা সভ্যতায় ।।


নিয়ে কোন অভিসন্ধি, জানিনা কে করেছিল জাতের সৃস্টি
কেইবা চিনিয়েছিল ভেদ-অভেদের  কুটিল ধারার পূণ্য বৃষ্টি
যুগ যুগান্তের প্রতিটি ধারায় ধূমায়িত দূষনের মেঘে শান্তি
খুঁজে খুঁজে প্রতারিত মন,  ছুত-অচ্ছুত মার্গ হতে চাইছে মুক্তি ।।


বর্ণবাদের সমাজ, শাস্ত্রের টোপ  ঝুলিয়ে নানা ভাবে
করেছে বিবর্ণ মনুষ্যত্যের নির্জাস দন্দের জাঁতায় পিসে
প্রতি মুহুর্তে হয়েছে পুস্ট দানা-পানির জোগানে,
অচ্ছুত পেশীর অক্লান্ত শ্রমপুত্রদের লোভহীন অবদানে।।


ঘৃণার নীল বিষের জ্বালা জুড়িয়েছে ধুলো কাদা মেখে
পুরুষ থেকে পুরুষানুক্রমে জ্ঞানার্জনের অপরাধে
চাবুকের ঘায়ে হয়নি শেষ, কর্মের ফল শুধেছে প্রাণদণ্ডে
বর্ণবাদের মুখোশে ঢাকা সমাজপতির সু-কঠিন নির্দেশে।।


চিত্র আজো একই প্রায়, মোছেনি কিছুই, হয়েছে রঙের বদল
ধণ, মান, উন্নত শিক্ষা, ভালো থাকার ভূমি, সব বেদখল
কে থাকবে, কি থাকবে, কেন থাকবে, কে কে যাবে বাদ
ভবিষ্যতই বলুক সেকথা, হায়রে সভ্যতা তোর আঁচলে
ভন্ড, ষন্ড, কুচক্রী, জাত শিরোমনি বজ্জাত সব থাক
বাদ যদি যায়, তবে  মানবতাই বাদ যাক।।