হেই, কোদালে দম লাইরে, দম লাই, মাটি উঠে কই
হাড়িয়া খাইতে হবেক, এ মরদ কামের লয়রে, কামের লয়
খিল খিল হাসির শব্দে বাতাস মুখরিত, সচকিত কর্মরত যুবক
সদ্য ১৫ পেরুনো বিজলী পুকুরে কলসী ভরতে বাগান পেরিয়ে
ঘাটে নামছে, নজর বাগানের দিকে পেশী বহুল হাতে ধরা কোদালে।।


বিজলী, কষ্টি পাথরে নিপুন ভাস্করের হাতে গড়া জীবন্ত মূর্তি
তার ছিপ ছিপে শরীরে বসন্তের সব ফুল - পাতারা এক সাথে ফুটছে
এক রাশ মেঘ রঙা চুল একটা হলুদ ফিতায় আলতো বাঁধা
দক্ষিনা বাতাসে উড়ছে তবে সে এলোমেলো না, মুক্তো ঝরিয়ে
হাসলেও, এমনিতে কথা কম বলে, ডাগর দুটো চোখ বলে।।


কর্মরত ২১ পেরুনো গোপাল চোখ তুলে তাকাবার আগেই
শুনতে পায় কলসীর শেষ ঢোকের শব্দ, কলসী কাঁখে বিজলী
পা বাড়িয়েছে ধাপ ভেঙ্গে পাড়ে ওঠার, কোদাল টা রেখে
সোজা হয়ে কোমরে হাত রেখে তাকিয়ে থাকে, মনটা ধাক্কা খায়
আনমনে গেয়ে ওঠে, ও রাধে ... থমকে গেলি কেন......।।


সূর্যাস্তের  আগুন ততক্ষনে হোগলের নদীজলে,
দূরে দিগন্ত রেখায় হাল্কা ধোঁয়ার রেখা,
হয়ত ঐ গ্রামের কোন বধু উনান ধরিয়েছে
সবুজ গাছ গুলো আস্তে আস্তে রং হারায়, মাঠ থেকে গোয়ালে
ফেরার পথে পা বাড়িয়েছে গৃহপালিতেরা, প্যাঁক প্যাঁক ডাকে
পুকুর ছেড়ে ধীরে ধীরে আশ্রয়ের দিকে হংস কুল, হংসি পিছে পিছে।।