শিশু তপন হেসে হেসে জাগার আগে বিজলী বিছানা ছাড়ে
তাকে যে ছাড়তেই হয়, তার যে অনেক কাজ এই বাড়ীতে
সেই কোন ছোট বেলায় তার মা তাকে এই বাড়ীতে রেখে গেছে
ধীরে ধীরে  সব কাজের দ্বায়িত্ব তুলে নিয়েছে, ঘর দুয়ার পরিস্কার
চা বানানো, অন্যান্য কাজের লোকদের পান্তা দেওয়া, রান্না।।


ওর মা  সামনের দুটো মাঠ পেরিয়ে ঐ দখিন পাড়ায় থাকে
লোকের জমিতে চাষের কাজ করে আর  হাড়িয়া বানায়
বাড়ীতেই বিক্রি করে,  এক চালা খড়ের ছাঊনিতেই জীবন কাটে
ওর মরদ, বিজলীর জন্মের পর মারা গিয়েছে, বিজলীর মনে নেই
দুঃখ্য ও নেই, এ বাড়ীতে সে বেশ ভালো আছে, নিজের মতই।।


গোপাল, যাকে  কে তার ভালো লাগে, সেও এখানেই থাকে
ওর মা সেই ছোট্ট বেলায় মারা গেছে, বাবা আবার বিয়ে করেছে
এখানে,ওখানে কাটাতে কাটাতে এখন এখানে, ২২শের আশেপাশে
কথা বলার অবকাশ থাকলেও বলতে পারেনা সেও ভালোবাসে
তবুও আচারে, ব্যবহারে বোঝাতে চায়, বিজলীকে বেশ লাগে।।


দিন যায়, স্রোতের গতি বাড়ে, দু জনেই যেন নিরিবিলি চায়
চোখে চোখে অনেক কথা  হয়, তবুও কোথাও যেন ভয় পায়
ওরা বোঝে, দু জনে দুই সমাজের, তবুও আরো কাছে আসে
কালের অমোঘ আকর্ষনের আবর্তে, বলে তুই আমায় দেখিসলাই
চায় আরো ঘনিস্ট হতে, জল দিতে গিয়ে আঙ্গুল ছুঁয়ে একটু হাসে।।


২২শের তরুন  কত দিনিই বা সামলাবে নিজেকে,
হার মানে, কাজে আনমনা হয়ে যায় কি এক অমোঘ টানে
ভাবে , কি ভাবে নিভৃতে সে বিজলী কে একবার দেখবে
মুলিবাশেঁর বেড়ার ওপারে বিজলী, এ পারে গোপাল রাত জাগে
ভাবে বিজলী কি সত্যি কিছু চাইছে, যা সে দিতে পারে, নাকি......।।