স্রোত টা ছিলই, দরকার ছিল পুবালি বাতাসের
ভালোলাগার অনুরননে নেশাধরা সময় ডাকছে আবিস্কারের
স্বপ্ন দেখার অবকাশ, আকাশ ছোঁয়ার স্বাধীনতা সহজ নয়
তবু কাজের ফাঁকে অন্য চোখ এড়িয়ে ওরা ভেসে যেত ভালোলাগায়
শুধু জানত না কতটা এগোতে পারবে, ওরা যে এক শ্রেনীর নয়।।


দিন, প্রতিদিন একই আবর্তের ঘুর্নিতে ভাসতে থাকে মন
জানা ছিল না পাড় ভাঙবে কিনা, নাকি ভেসে যাবে জীবন
সময়ের অধীর পদচারনায় খাবারে রুচি নেই, মন নেই কাজে
বিদ্রুপ করে বিনিদ্র রাত, মুলিবাঁশের বেড়ার বাঁধন যায় খসে
সাহস প্রবেশ করে পূবের বারান্দায়, মাদুরের বিছানার পাশে।।


গোপাল দা ! তুই এলি ! অন্ধকারের নিজস্ব আলোয় তর্জনি ঠোঁটে
না কোন কথা নয়,  ভালোলাগার আলাপ চলে দুরন্ত নিঃশ্বাসে
ভাষা হীন অস্থির রাত,  দুরন্ত কাল বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিতে ভেজে
পুব আকাশে শুক তারা জাগে, বাড়ীর মোরগ জানান দেয়
সাবধান, আর বেশী দেরি নেই, ভোরের লঞ্চ ঘাটে লাগে ।।


যে পথে সে এসেছিল, সেটাই নির্গমন,  বাঁধা হয়ে যায় বাঁধন
দেরি হয়ে যায় ওদের  ঘুম ভাঙতে, বিনিদ্র রাতের অবসান
যে যার কাজে লেগে পড়ে, ভাবলেশ হীন মুখ, নেই প্রতিফলন
তবু চোখা চোখি হলে ভেংচি কাটে, মুচকি হাসির আস্তরন
এ দিক ওদিক তাকিয়ে বলে, ও... ভারি মরদ বটে......।।