তাপদগ্ধ চৈত্র অথবা শীতের পৌষ
সদাই থাকে এই ছায়াতল দিলে দিলে দিলখুশ
মুখরিত জনারন্যে কেউ অপেক্ষায়, সময় দেখে বার বার
সিগারেটে টান, চঞ্চল চোখ, হয়ত ভাবে কিছুই নয় হারাবার


সকাল কাটিয়ে ব্যাস্ত দিনের শুরু, ঘুম ভেঙে জাগে রাজপথ  
আবার ক্ষুধার সরনী বেয়ে নানা রঙে, নানা পথে রোজগারের শপথ
ট্যাক্সি থামে, নেমে আসে অর্ধ-উলঙ্গ বাচ্ছা কোলে পেশাদার
সারা দিন থাকা খাওয়া,  দিনে দুই শত ভাড়া এ বাচ্ছার


কত রুপে, ছলে চলে হানা বিদেশীর পিছে পিছে, ভাষা ইংরেজী
বলে, হ্যালো,  হেল্প মি, প্লিস গিভ মিলক, হাঙরি বেবী
উড়িয়া পানের দোকানি, এগিয়ে দেয় বারে বারে বেচা একই দুধ
মূল্য চোকায় বেচারা পর্যটক, আবার ফেরত, বাদ ২০টাকা - সুদ


মুঠো ফোনে বলে, আরে কত দেরি, দাঁড়িয়ে আছি ঠায়
কত জনে পাশে এসে মেপে নিয়ে দর জানতে চায়
তাড়াআছে আজ , ফিরতে হবে, কর্তার ফেরার আগে
হাতে হাত ধরে চলে যায় দেখি রাস্তা পেরিয়ে গঙ্গার দিকে


এখানে বেমানান শুধু কলাই চটা, পেতে রাখা ভাঙ্গা থালা
যাওয়া আসার পথে কেউ বা এক টাকা , কখনো বা এক আদলা
ভালোই কাটে দিন, শুয়ে বসে হাজার মনের চুপ কথা শুনে শুনে
অতীত ভুলে, ব্যাস্ত মহানগরের ছবি দেখে, অজানাকে জেনে