হতভাগ্যের আবার বেলা অবেলা- ধুলায় মিশেছে শৈশব, কৈশোর
নৈরাজ্যের স্বর্গে - বাতাসে অর্ধদগ্ধ শবের  কাবাব কাবাব সৌরভ
মৌতাতে মেতে ওঠে সত্তা - চিতার আগুনের আলোয় জাগে গৌরব
না চাইতেই মেলা তরলের সর্পিল পথে স্বপ্ন -যৌবনের ঘোর।।


অন্ধকারের গর্ভ হতে মুক্তির লক্ষে হাত-পা ছুঁড়তে ছুঁড়তে বেরিয়ে
সোজা শুয়োরের চারন ভূমির বেড়ার পাশে- বেড়ে ওঠা -জঞ্জাল
এখানে সূর্যের প্রবেশ নিষেধ, বেলা অবেলা সবটাই বে-সামাল
গোটা রাস্তায় ছড়িয়ে তরলিত-পুতিময় জীবন অবেলা পেরিয়ে ।।


শিক্ষার ছায়াপথ বহু আলোকবর্ষ দূরে - রাজনীতির প্যাঁচ
ক্ষুধার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেঁচে থাকে ৬৭র রাত
কুমারী নদীর নির্মল জল বিষিয়ে দেয় আজানু-লম্বিত হাত
দীর্ঘায়িত ন্যায়ের ঘোর অন্ধকারে অর্থের লেলিহান আগুনের আঁচ ।।


জনারণ্যের সবখানে ঝোপে ঝাড়ে অশরীরি ফিসফিসানি আঁধার
বুদ্ধির  উন্মুক্ত মননের আকাশে ওড়ে শকুনের মত জীব  
বিদ্রোহের বাণী- অন্ধকার কুঠুরিতে কাঁদে -হাসে ক্ষমতার শিব
মুক্তির উপায় - জানা নেই, তবে নিশ্চিত, এ দেশ নয় আমার।।


আঁস্তাকুড়ের খাবার ঢুকে যায় পাকস্থলীতে -পরমানন্দে
পাতলা রাতের ফুটপাতে লাইট পোস্টের ছায়ায় বাড়ে আবাদী
সংজ্ঞা বিহীন চরিত্রের ধার ধারেনা সময়, সবেতেই সম্মতি
খুব সুন্দর, নগ্নতার আলোয় উদ্ভাসিত চরাচর এই অবেলাতে।।