তুই তখন একটু একটু করে বাড়ছিলি
রোজ দেখা হোত,  আড় চোখে দেখে পালিয়ে যেতিস
পড়তে বসে বাঁশের বেড়ার ফাঁকে চলে যেত চোখ
দেখতাম তুই দাঁড়িয়ে - বইয়ের পাতায় তোর মুখ
তখন একই লাইন বার বার - আনমনে শুধুই বুদ বুদ।।


শীতের গেঁদা ফুলে ভরা তোদের উঠান -সেখানে তুই
সকালের রোদে পিঠ রেখে সামনে খোলা বই
মায়ের  ধমকে, নাকি পড়ার তাগিদে তা  জানা নেই
তোর ছিল ষষ্ঠ শ্রেণী, আমার বোধ হয় ক্লাশ নাইন
দিন যায়, সংকেত বাড়ে - মনে - শরীরে অস্থিরতায়
তবু চোখে লাজুক ভাব জমিয়ে দেখতিস - অছিলায়।।


আমিও ভাবতাম তোর কথা - দেখেছি প্রতিদিন তোর বেড়ে ওঠা
একটা একটা দল মেলে ফুটছিস - দিঘীর বুকে পূর্ণতার ঘন ঘটা
কেউ কেউ বোলত আমায় - কিরে, কি ব্যাপার - কি দেখিস ও ভাবে
কিছু না বোলে এড়িয়ে যেতাম, সরে যেতাম একটু হেসে
মনের মাঝে দিক চক্রবালের মতই একটা রেখা জাগছিল দূর হতে
কখনো বা হটাৎ মনে হত দূরে কোথায় - এই তো খুব কাছে।।


সরস্বতী পুজোয় তোকে দিয়েছিলাম অঞ্জলী দিতে একটা গোলাপ  
তোর চোখের হাসিতে বুঝেছিলাম - চাহনির সে ধারাপত
তোর প্রথম শাড়ী জড়ানো তনু - অপরুপ প্লাবনে ভাসিয়েছিল মন
সব ভুলে, মনে মনে সেদিনিই তোকে দেখতে চাইছিলাম অনুক্ষন
সহসা এক মুঠো টোপা কুল দিয়ে বলে গেলি - খুব মিষ্টি
আর আমি, অবাক চোখে দেখছিলাম - বেড়ে ওঠা রহস্যের অনুপম সৃ্ষ্টি।।